ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প

করপোরেট ট্যাক্সে ছাড় চায় বিজিএমইএ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৬
করপোরেট ট্যাক্সে ছাড় চায় বিজিএমইএ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: তৈরি পোশাক খাতে ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই আগামী ৫ বছর এ খাত সংশ্লিষ্টদের করপোরেট ট্যাক্স ১০ শতাংশ রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারী ও রফতানিকারকদের সংগঠন-বিজিএমইএ।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক বাজেট আলোচনায় তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠনটির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত করপোরেট ট্যাক্স ১০ শতাংশ থাকলেও ২০১৪-১৫ বাজেটে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। একটি রফতানি খাতে এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। ৪৪ লাখ লোক এ খাতে কাজ করে। গত দু’বছরে এ খাত মুখ থুবড়ে পড়লেও ৬ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এরপরও ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ’

অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা দূর করতে সংশ্লিষ্টদের করপোরেট ট্যাক্স ১০ শতাংশে বহাল রাখার দাবি জানান তিনি।
 
অগ্নি নির্বাপন যন্ত্রাংশে শুল্ক ছাড়ের অনুরোধ জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ৩ হাজার ৬৯৬টি কারখানা পরিদর্শন করেছে অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স। ফায়ার ডোর লাগাতে তাগাদা দিয়েছে তারা। প্রতিটি দরজায় ফায়ার এক্সিট লাগানোর কথাও বলেছে। গার্মেন্টেস অনেক দরজা থাকে। বায়ারদের কাছে আমরা জিম্মি, তারা যেভাবে বলে সেভাবে কাজ না করলে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। ’

‘পোশাক শিল্পে কম্প্লায়েন্ট নিশ্চিতে ও ভূমিকম্পসহ দেশের অন্যান্য ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আমদানি শুল্কমুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি। ’

আসন্ন বাজেটে সভায় ব্যবসায়ীদের স্বার্থে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি মো. ছিদ্দিকুর রহমান।

তিনি বলেন, কারখানায় দুর্ঘটনা হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এনবিআরকে জানাতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে ঝামেলা হয়ে যায়। তাই ৪৮ঘণ্টার পরিবর্তে ৭দিন করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এছাড়া অডিট ৩ মাসের পরিবর্তে ৬ মাস, উৎসে কর ০.৬০ শতাংশ থেকে ০.৩ শতাংশ করাসহ ১০টি প্রস্তাব তুলে ধরেন এই ব্যবসায়ী নেতা।  

সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, এ খাতে বন্ড সুবিধাসহ বেশ কিছু সুবিধা দেওয়া হলেও মাঝে মাঝে এর কিছু অপব্যবহার দেখা যায়। আশা করি ভবিষ্যতে এসব থাকবে না।
 
‘তবে এ বিষয়ে সুনিদির্ষ্ট করে বললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ বলে জানান সিদ্দিকুর রহমান।  

আলোচনা সভায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মো. আব্দুল মাতলুব আহমাদ, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রথম সহ সভাপতি মো. হাতেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৬
আরইউ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।