ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

সয়ামিলের মূল্য বৃদ্ধি: বিপাকে পোল্ট্রি, মৎস্য ও ডেইরি শিল্প

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৬
সয়ামিলের মূল্য বৃদ্ধি: বিপাকে পোল্ট্রি, মৎস্য ও ডেইরি শিল্প

ঢাকা: গত এক সপ্তাহে পোল্ট্রি খামার, মৎস্য ও ডেইরি শিল্পের অত্যাবশ্যক উপাদান সয়ামিলের মূল্য দ্বিগুণ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এ শিল্প সংশ্লিষ্টরা। মূলত বাজেটকে সামনে রেখে দেশের ভোজ্যতৈল উৎপাদনকারী সিন্ডিকেট পরিকল্পিতভাবে এসব খাদ্যের দাম বৃদ্ধি করেছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে।


 
বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর নিকেতনে ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ফিআব) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ খাত সংশ্লিষ্টরা এমন অভিযোগ করেন। খাতকে বাঁচাতে সভায় সয়ামিলের দাম সহনীয় রাখা ও আমদানির ক্ষেত্রে আরোপিত ৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।
 
ফিআব সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, সয়ামিল প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩১ টাকা হলেও মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা হয়ে গেছে। দেশে সয়ামিলের চাহিদা বছরে প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিকটন হলেও উৎপাদিত হয় ৫ লাখ মেট্রিকটন। বাকিগুলো আমদানি করতে হয়।

তিনি বলেন, অধিক মুনাফার লোভে ভোজ্যতৈল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে চলেছে। এতে বেকায়দায় পড়েছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় সয়াবিন সিড আমদানি করে। আর এ থেকে সয়ামিল বের করে তারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে নেন।
 
খোলা বাজারে সয়ামিলের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা ও সয়ামিল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার হলে ডিম, দুধ, মাছ ও মাংসের দাম কমে যাবে বলেও জানান তিনি।
 
সয়ামিল নয় বরং সয়াবিন সিডের ওপর ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করা উচিত জানিয়ে ফিআব সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মনসুর হোসেন বলেন, ফিড প্রস্তুতকারীরা মাছ, মুরগি ও ডিম প্রাণিজ আমিষের সিংহভাগ চাহিদা পূরণ করছেন। সিন্ডিকেটের কবল থেকে এ খাতকে বাঁচাতে সরকারের হস্তক্ষেপ চাই।

সভায় আফতাব বহুমুখী ফার্মসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার, নারিশ পোল্ট্রির পরিচালক শামসুল আরেফিন খালেদ অঞ্জনসহ ফিআব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৬
আরইউ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।