ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প

রাজশাহীতে গার্মেন্টস ব্যবসার দ্বার খুলছে ‘সাকোয়াটেক্স’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২১ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
রাজশাহীতে গার্মেন্টস ব্যবসার দ্বার খুলছে ‘সাকোয়াটেক্স’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: রাজশাহীসহ গোটা উত্তরাঞ্চলে গার্মেন্টস ব্যবসার দ্বার খুলতে যাচ্ছে ‘সাকোয়াটেক্স’। আর উৎপাদনের শুরুতেই প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মসংস্থান হতে যাচ্ছে অন্তত ১০ হাজার বেকার মানুষের। ক্রমান্বয়ে এর পরিধি বাড়বে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ানো হবে জনবলও। 

সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকেই উৎপাদনে যেতে চাইছে উত্তরাঞ্চলের একমাত্র এই গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান।  

নবনির্মিত সোয়েটার কারখানা ‘সাকোয়াটেক্সে’র প্রকল্প পরিচালক আসিফ রহমান জানান, এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি জাপান থেকে আমদানি করা হয়েছে।

শেষ হয়েছে প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং প্রশিক্ষণও। গত ১৫ জানুয়ারি সর্বশেষ যন্ত্রপাতি কারখানায় ঢুকেছে। এখন উৎপাদনে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যন্ত্রপাতিগুলো স্বয়ংক্রিয় অবস্থায় রয়েছে কেবল এগুলো স্থাপন করতে হবে।

তিনি জানান, রাজশাহীতে গ্যাস পৌঁছানোর পর এনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক কারখানাটি স্থাপনের উদ্যোগ নেন। এজন্য তিনি মহানগরীর বিসিক শিল্প এলাকাকে নির্বাচিত করেন। বর্তমানে সেখানে শতভাগ রফতানিমুখী এই প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। উৎপাদনের শুরতেই মাসে এক লাখ ২০ হাজার সোয়েটার তৈরি হবে। পরে তা বাড়িয়ে ১০ লাখ করা হবে।  

এনা গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ড. মোসলেহ উদ্দিন জানান, সোয়েটার কারখানা সাকোয়াটেক্স স্থাপনের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসের যে কোন দিন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে। আর উদ্বোধনের পর এটি হবে রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের প্রথম গার্মেন্টস কারখানা।  

তিনি বলেন, এখানে তৈরি সোয়েটার দেশের বাইরে রফতানি করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির জন্য জাপানের ‘সিমা সেকি’ কোম্পানি থেকে জ্যাকার্ড নিটিং মেশিন আমদানি করা হয়েছে। এখন স্থাপনের কাজ চলবে।  

এনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ঈঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, এর আগে রাজশাহীতে ছোট ও মাঝারি শিল্প কারখানা স্থাপন করা হলেও স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও বড় কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। অথচ এখানে গ্যাস রয়েছে, জমির দাম সস্তা এবং জনবল সহজলভ্য। কেবল ঢাকার বাইরে এবং বিভাগীয় শহর বলে কেউ শিল্প প্রতিষ্ঠায় সাহস পায়নি। তাই অন্যরা ঝুঁকি মনে করলেও তিনি উদ্যোগটি নিয়েছেন।  

‘একটা সময় আসবে যখন এই প্রতিষ্ঠান দেখে অন্যরাও এই অঞ্চলে শিল্প প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসবেন। কাউকে না কাউকে তো শুরু করতেই হয়। ’

তিনি বলেন, এ কারখানা স্থাপনের মধ্যে দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা রাজশাহী মাথা উঁচু করে করে দাঁড়াতে পারবে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। কাজের জন্য মানুষ আর ঢাকায় ছুটবেন না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
এসএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।