ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শিল্প

২৪ ঘণ্টা বাণিজ্য সেবায় বদলে যাওয়া বেনাপোল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১৭
২৪ ঘণ্টা বাণিজ্য সেবায় বদলে যাওয়া বেনাপোল ২৪ ঘণ্টা আমদানি-রফতানি বাণিজ্যিক কার্যক্রম, ছবি: বাংলানিউজ

বেনাপোল (যশোর): অন্য যেকোনো দিনের তুলনায় বেনাপোল স্থলবন্দরের চিত্র এখন একটু ভিন্ন। দিনের মতো রাতেও শ্রমিকরা কাজ করছেন, ব্যস্ততা যেন একই।

মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দরে এমন চিত্র দেখা যায়। সাতদিনে ২৪ ঘণ্টা আমদানি-রফতানি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে এখানে।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা (সুপার) নাসির উদ্দিন রাত ১১টা ২০ মিনিটে বাংলানিউজকে জানান, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে ২৪ ঘণ্টা বাণিজ্য সেবা চলছে। এ পর্যন্ত ভারত থেকে ২৩০ ট্রাক পণ্য প্রবেশ করেছে।

তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টা কাজ চলছে, ফলে বদলে গেছে চিত্র। দুটি শিফট করে কর্মচারীরা শ্রম দিচ্ছেন। সকাল ৭টা থেকে যারা কাজ শুরু করেছেন, রাত ৮টায় তাদের ছুটি দিয়ে আর এক শিফট চালু হয়েছে। মধ্যরাতে কর্মকর্তারাও কাজে ব্যস্ত, ছবি: বাংলানিউজবন্দরে দিনের মতো স্বাভাবিক নিয়মে ভারত থেকে পণ্য আমদানি ও রফতানি হচ্ছে। কাস্টমস, বন্দর, ট্রান্সপোর্ট ও সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা ব্যস্ততার মধ্যে রাত পার করছেন।

এর আগে সাধারণত সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বেনাপোল স্থল পথে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য চলতো। পরে হরতাল, অবরোধসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাণিজ্যের ঘাটতি পূরণে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়। এরই মধ্যে দুই দেশের সরকারের মধ্যকার আলোচনায় বাণিজ্যে আরও গতি আনতে সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘণ্টাই সচল রাখার সিদ্ধান্ত এলো। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) সকাল ৭টায় শুরু হয়েছে ২৪ ঘণ্টা বাণিজ্য সেবা।

এদিকে বন্দর ও কাস্টমসে জনবল কম থাকায় আগে যেখানে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একজন কর্মচারী কাজ করতেন এখন তাকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করতে দেখা যায়। এখানে আরও লোকবল বৃদ্ধির দাবি সংশ্লিষ্টদের।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্সি সারতী এন্টারপ্রাইজের র্বডার ম্যান রিপন জানান, তারা রাত জেগে ভারতীয় পণ্য ঢোকাচ্ছেন। কিন্তু পণ্য খালাসের জন্য বন্দরে গিয়ে পর্যাপ্ত স্টোর কেপারের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।  

২৪ ঘণ্টা বাণিজ্য সফল করতে সংশিষ্ট সবার উপস্থিতি থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।  

ভারতীয় ট্রাক চালক রমেন দাস বলেন, ২৪ ঘণ্টা পণ্য পরিবহনে তাদের কোনো অসুবিধা নেই। তবে বেনাপোল বন্দরে রাতে থাকা, খাওয়া ও গাড়িতে বোঝাই পণ্যের নিরাপত্তা জোরদার করার কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর এমপ্লোয়েজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মজুমদার বাংলানিউজকে জানান, তারা পেট্রাপোল বন্দরে গিয়ে সেখানকার ব্যবসায়ী, বন্দর-কাস্টমস ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রথম দিনে কিছু অভিযোগ আসতে পারে। তবে দুই-এক দিনের মধ্যে তা ঠিক হয়ে যাবে।

পশ্চিমবঙ্গ বনগাঁ মহাকুমা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের (আইএনটিসি) সাধারণ সম্পাদক প্রভাস পাল জানান, এ ধরনের বাণিজ্য সেবায় তারা খুশি। তবে যারা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে মালামাল নিয়ে বেনাপোল বন্দরে আসছেন প্রশাসনের কাছে তাদের বাড়তি নিরাপত্তা দাবি করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৭
এজেডএইচ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।