ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প

বসুন্ধরা পেপার মিলের কাছে গ্রাহকদের চাহিদাই মুখ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৮
বসুন্ধরা পেপার মিলের কাছে গ্রাহকদের চাহিদাই মুখ্য পেপার টেক এক্সপোতে বসুন্ধরা পেপার মিলসের প্যাভেলিয়ন। ছবি: সুমন শেখ

ঢাকা: মাঠ পর্যায়ের গ্রাহকদের চাহিদা সংগ্রহ করছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। সেই চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে ধারাবাহিকভাবে নতুন নতুন পণ্য দিয়ে বাজার সমৃদ্ধ করছে কোম্পানিটি। অভিনব, আকর্ষণীয় ও তুলনামূলক কম দামে টিস্যুসহ কাগজজাত বিভিন্ন ধরনের পণ্য বাজারে আনছে তারা।

বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলমান ‘৩য় পেপার টেক এক্সপো ২০১৮’-এর বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের প্যাভিলিয়নে দেখা গেছে এসব উন্নতমানের পণ্য।

এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে- গ্রীষ্মকালকে মাথায় রেখে নতুন ওয়েট টিস্যু দুই পিস ৬ টাকা, ৮ পিসের বিভিন্ন আকর্ষণীয় মোড়কে ও উন্নতমানের স্যানিটারি ন্যাপকিন আকারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ৫৭ টাকায় প্রতি রোল রান্নাঘরের জন্য ব্যবহৃত এক ভাজ বিশিষ্ট পেপার টাওয়েল যা আগের থেকে উন্নতমানের ও ২৫ জিএসএম সমৃদ্ধ আর বিভিন্ন ফলের নকশা ও রঙে সমৃদ্ধ টিস্যু বক্স।

 

এছাড়া এ মাসের মধ্যে বাজারে আসবে নতুন মেকাপ রিমুভার ওয়েট টিস্যু। যার ১০ পিস একসঙ্গে বিক্রি হবে। তবে দাম এখনও নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন কোম্পানিটির মার্কেটিং বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার মোহাম্মদ করিমুল আরাফাত।
 
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমরা মার্কেটে ঘুরে সাধারণ ক্রেতাদের মতামত গ্রহণ করছি। আর সে অনুসারেই আমাদের নতুন পণ্য বাজারে উপস্থাপন করছি। ফলের নকশা ও ওই রঙে সজ্জিত টিস্যু পেপার ছাড়াও দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থান, ফুল, পাখির নকশা নিয়েও আমাদের টিস্যু পেপার এ মাসেই আসবে। এ ধরনের পছন্দনীয় আইডিয়াও আমরা গ্রাহকদের কাছ থেকে পেয়েছি।  

মোহাম্মদ করিমুল আরাফাত আরো বলেন, গ্রীষ্মকালকে মাথায় রেখে এলাকাভেদে মানুষের চাহিদা কেমন তা জেনে আমরা বিভিন্ন ধরনের টিস্যু, স্যানিটারি ন্যাপকিনসহ বিভিন্ন পণ্য বাজারে আনছি। এছাড়া বসুন্ধরা টিস্যুর সবচেয়ে জনপ্রিয় পণ্য প্যাকেজ টিস্যু প্যাকে আমরা ১০ ভাগ ছাড় দিয়ে ২৯৬ টাকায় বিক্রি করছি। এই প্যাকেজে সব ধরনের প্রয়োজনীয় টিস্যু পাওয়া সম্ভব।

সকল প্রকার কাগজজাত পণ্যের মুখ্য উপাদান হচ্ছে মণ্ড। আর এই মণ্ডও এদেশে আমদারি করা হচ্ছে উন্নতমানের পেপার ও টিস্যু তৈরির জন্য। মণ্ডসহ উন্নতমানের কাগজ বাংলাদেশে দীর্ঘদিন যাবত দিয়ে যাচ্ছে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ।
 
কোম্পানিটির সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুকান্ত কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, আমারা প্রায় ২০ ধরনের টিস্যু তৈরি করে থাকি। এছাড়া ৫ ধরনের কাগজও তৈরি করি। এই টিস্যুগুলোর ভিন্ন ভিন্ন জিএসএম’র মাত্রা নির্ণয় করে এর ভিন্ন মান। প্রত্যেকটি কাগজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন রকম মণ্ড প্রয়োজন হয়। তাও আমরা চালান করে থাকি।

এদিকে কাগজ তৈরির কাজে সংশ্লিষ্ট সকল যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল ছাড়াও মোটর পাম্প একটি অপরিহার্য উপাদান। তাই বিভিন্ন ধরনের পাম্পের সমারোহ দেখা গেছে প্রদর্শনীতে। চীনের তৈরি পাম্প নিয়ে ভারতের ‘কাকাতি ভ্যাকুয়াম পাম্পস অ্যান্ড সিস্টেম’ নামক কোম্পানিটি গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে পাম্প সরবরাহ করছে।  

কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপক সি জয়াদ্বীপ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বাংলাদেশে দীর্ঘদিন যাবত এই পাম্প সাপ্লাই দিয়ে যাচ্ছি। সবসময় নতুন ও উন্নতমানের পাম্প সাপ্লাই দেওয়ার ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট থাকি। আর কাগজ শিল্প-কারখানাগুলোতে এই পাম্পের ব্যাপক ব্যবহার আছে।

এছাড়া সি আর আই কোম্পানিসহ একাধিক কোম্পানির চাইনিজসহ জাপানিজ ও আমেরিকান পাম্পের সমারোহ রয়েছে প্রদর্শনীতে। কোম্পানিগুলোর স্টলেও প্রদর্শিত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পাম্প। যা আবার তৈরি হয়েছে এ দেশের পরিবেশের উপযোগী করে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
এমএএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।