ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

‘বিকল্প ব্যবস্থা না করে বিড়িশিল্প ধ্বংস করা যাবে না’

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৮
‘বিকল্প ব্যবস্থা না করে বিড়িশিল্প ধ্বংস করা যাবে না’ গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ ও বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সমাবেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বিকল্প শিল্প তৈরি না করে, বিড়িশিল্প বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভের চেয়ারপারসন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল।

শনিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।  

‘শুল্কনীতির বৈষম্যে বিড়ি-শ্রমিক এবং বিড়ি শিল্প’ এই শিরোনামে সমাবেশের আয়োজন করে গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ ও বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন।

ফেডারশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিন উদ্দীনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) -এর সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান। আলোচনা করেন বিড়ি-শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমকে বাঙালি, যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুর রহমান, গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভের সাধারণ সম্পাদক জান্নাত-এ-ফেরদৌসী প্রমুখ।

অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন আগামী তিন বছরের মধ্যে বিড়িশিল্প বন্ধ করবেন অন্যদিকে বিদেশি সিগারেট কোম্পানিকে প্রায় ২২ বছর সময় দিচ্ছেন। আমরা বলতে চাই বন্ধ হওয়ার আগে যে পরিমাণ সুযোগ সিগারেট কোম্পানিগুলোকে দেওয়া হবে, তার চেয়ে বেশি সুবিধা বিড়ি-শ্রমিকদের দিতে হবে। বিড়ি-শ্রমিকদের অধিকাংশই নারী শ্রমিক তারা যেন বেকার না হয়ে যান সেদিকে অব্যশই খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, বিকল্প শিল্প তৈরি না করে বিড়িশিল্প বন্ধ করা যাবে না। বিকল্প শিল্প গার্মেন্টসও হতে পারে বা অন্যকিছুও হতে পারে। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরি নিশ্চিত না করে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। বিড়ি-শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি ১শ টাকা করার দাবি জানান তিনি।

ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আমরা বিড়ি-শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের নায্য দাবিকে সমর্থন ঘোষণা করছি। আমরা মনে করি না তামাক সেবন উত্তম। তারপরেও বিকল্প ব্যবস্থ নেওয়ার আগে বিড়িশিল্পের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। অর্থমন্ত্রী বিদেশি সিগারেট কোম্পানিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিড়িশিল্প বন্ধের চিঠি দিয়েছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বিড়িশিল্প বন্ধের বিল গতবছর সংসদে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পর বাতিল হলেও এবছর নতুন করে আবার চিঠি দেওয়ায় দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছি। বিড়িশিল্প বন্ধের চেষ্টা হলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ার করে দেন।

সমাবেশে সারাদেশ থেকে বিড়ি-শ্রমিকরা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন। তারা বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলো বন্ধের দাবি জানান। তাদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে বাজেটের আগে ঢাকা বৃহত্তর আন্দোলন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৮
এসকেবি/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।