টাঙ্গাইল শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দক্ষিণে দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়ন। জেলার বিভিন্ন স্থানে শাড়ি তৈরি হলেও ওই ইউনিয়নেই টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরি ও ব্যবসার মূল কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয় শাড়ি শিল্পীরা জানান, ঈদ উপলক্ষে তিন মাস আগে থেকেই শাড়ি তৈরি করে তারা মজুদ করছেন। এবার কটন, পিওর সিল্ক, হাফ সিল্ক ও সুতি শাড়ি বেশি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি মেয়েদের থ্রি-পিস এবং ছেলেদের পাঞ্জাবির কাপড়ও তৈরি হয়েছে এখানকার তাঁতে। ৭৫০ থেকে শুরু করে ১৫-২০ হাজার টাকা দামের শাড়ি ঈদ উপলক্ষে তৈরি করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) পাথরাইলে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারি ক্রেতাদের সরব উপস্থিতি প্রতিটি তাঁতি বাড়িতে। তাঁত পল্লির চারিদিক থেকে ভেসে আসা মাকুর শব্দ জানান দিচ্ছিল তাঁতিদের ব্যস্ততার কথা।
টাঙ্গাইল শাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক বাংলানিউজকে বলেন, এবার ঈদে টাঙ্গাইল অঞ্চলে সাড়ে তিন লক্ষাধিক শাড়ি তৈরি হচ্ছে। যা পাইকারি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে।
যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানির বিক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় বগুড়া থেকে আসা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএস পরিচালিত হস্তশিল্প বিক্রয় কেন্দ্রের কর্মী গীতাঞ্জলি দাসের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে শাড়ি নিতে এখানে এসেছেন। ঈদের বাজারে টাঙ্গাইল শাড়ির চাহিদা রয়েছে। তাই বিভিন্ন দামের পাঁচ শতাধিক শাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন।
দিনাজপুর থেকে আসা মোহাম্মদি শাড়ি হাউজের ইকবাল হোসেন বলেন, ঈদে তাদের অঞ্চলে টাঙ্গাইল শাড়ি ভালো বিক্রি হয়। তাই প্রতিবারের মতো এবারও রোজার শুরুতেই শাড়ি নিতে এসেছেন। প্রথম দফা ভালো বিক্রি হলে ১৫-২০ রোজার পর আবার আসবেন।
হবিগঞ্জের শংকর বস্ত্রালয়ের মালিক শংকর সাহা বলেন, ১০ রোজার পর থেকেই ঈদের বাজার পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে। তাই রোজার শুরুতেই শাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন।
সীতানাথ রনজিত শাড়ি হাউজের সুবির বসাক বাংলানিউজকে বলেন, উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত সব শ্রেণীর ক্রেতার কথা মাথায় রেখেই এবার ঈদের শাড়ি বাজারে আনা হয়েছে। ৭৫০ টাকা থেকে শুরু ১৫-২০ হাজার টাকা দামের শাড়ি বিক্রি হচ্ছে। তবে এক থেকে দুই হাজার টাকা দামের শাড়ির চাহিদা বেশি।
যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানির খোকন বসাক বাংলানিউজকে বলেন, রোজার শুরুতে এখন শুধু পাইকারি ক্রেতারাই আসছেন। রোজার মাঝামাঝি থেকে খুচরা ক্রেতাদের আসাও শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৯
জিপি