‘সামার অব কোড’ হচ্ছে গুগলের অর্থায়নে পরিচালিত একটি প্রকল্প। ২০০৫ সাল থেকে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের আওতায় ‘ওপেন সোর্স প্রজেক্টে’ বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের যোগ্য ও আগ্রহী শিক্ষার্থীরা কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে।
তিন মাসের এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে কর্মরতদের খন্ডকালীন বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। এবারের অর্থাৎ ২০১২ সালের ‘সামার অব কোড’ প্রোগ্রামের নিবন্ধন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে গুগল। এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং মেনটরসদের থেকে আসা প্রচুর পরিমানে প্রস্তাবিত প্রকল্প জমা পড়েছে।
এর থেকে গুগল ১৮০টি প্রকল্প নির্বাচিত করেছে। এখন তাই নিবন্ধনের পালা। আগ্রহীরা তাদের পছন্দানুযায়ী প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। গুগলের পরামর্শমূলক তথ্য হিসেবে দেওয়া আছে-আবেদনকারীকে অবশ্যই এ কাজে পুরোপুরি দক্ষ হতে হবে।
বিশ্বব্যাপী পরিচালিত এ প্রকল্পের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ‘প্রতি দুইজন’ মেনটরসদের অধীনে কাজ করবে। মেনটরস/পরামর্শ দাতার মূলত তাদের সফটওয়্যার দুনিয়ার বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে ভালো কর্মক্ষেত্রে সুযোগ করে দিতেও সহায়তা হবে।
সামার অব কোডের (www.google-melange.com) সাইটের মাধ্যমে নিবন্ধনের সুযোগ থাকছে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। মানসম্মত আবেদন করতে গুগলের ওয়েবসাইটে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ টিপস অনুসরণের সুযোগ আছে আগ্রহীদের।
শুধু তাই নয় আগ্রহীরা যাতে এ বিষয়ে বিশদ জানতে পারে, তাই গুগল ‘হ্যাং আউটের স্টুডেন্ট পেজে’ এপ্রিলের দুই তারিখ ৩:৩০ পিএম পিডিটি সময়ে ওপেন সোর্স প্রোগ্রামের ম্যানেজার ক্রিস ডিবোনোর সঙ্গে সরাসরি প্রশ্নোত্তোর পর্বের আয়োজন করা হয়।
নির্বাচিতদের তালিকা ২৩ এপ্রিল ‘সামার অব কোড’ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার কথা জানিয়েছে গুগল। তাই বাংলাদেশের যেসব প্রতিভাবান শিক্ষার্থী গুগলের মতো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছেন, তাদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি বড় সুযোগ। তাই নির্বাচকদের বিবেচনায় আসতে পারলে হয়ত এখান থেকে শুরু হতে পারে গুগলের সঙ্গে পথ চলা।
বাংলাদেশ সময় : ১৩২০ ঘন্টা, ২৯ মার্চ, ২০১২
সম্পাদনা: সিজারাজ জাহান মিমি/সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর