ঢাকা : দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম বিকাশমান মোবাইল ব্রডব্যান্ড ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘অজের’ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে দুই লাখ গ্রাহক অর্জনের মাইলফলক স্পর্শ করেছে।
বাংলাদেশে তাদের গ্রাহক সংখ্যা ১২৫,০০০ এবং পাকিস্তানে ৭৫,০০০।
অজের বাংলাদেশে কিউবি নামে কার্যক্রম পরিচালা করে আসছে।
২০০৯ সালের জুলাই থেকে প্রতিষ্ঠানটি কিউবি নামে পাকিস্তানে বাণিজ্যিকভাবে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক কার্যক্রম শুরু করে। কিছুদিন পরেই ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশেও তাদের যাত্রা শুরু হয়। ২০১১ সালের শেষের দিকে ওয়ারলেস নেটওয়ার্কের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাত শরও বেশি রেডিও বেইস স্টেশন স্থাপন করে অজের।
দুই লাখ গ্রাহক অর্জন সম্পর্কে অজের গ্রুপের সিইও ডেভিড ভেন বলেন, ‘আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দু’টি মার্কেটে দুই লাখ গ্রাহক অর্জনের মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। এর মাধ্যমে আমাদের ব্যবসা মডেলের সফলতা প্রকাশ পায়, যার মূল কৌশল হচ্ছে- দ্রুত বিকাশমান মার্কেটে মোবাইল ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক কার্যক্রম প্রদান করা। আরেকটি খুশির বিষয় হচ্ছে- উন্নয়নশীল দেশে আমাদের সেবার মাধ্যমে ক্রমবর্ধিত মানুষ দ্রুতগতিসম্পন্ন, নির্ভরশীল এবং সুলভমূল্যে ইন্টারনেট ব্যাবহার করতে পারছেন। এখন অনেক মানুষ একে অপরের সঙ্গে মুহূর্তের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারে। একই সঙ্গে সারা বিশ্বের ব্যাবসা-বাণিজ্য, বিনোদন ও প্রযুক্তির ব্যাপারে জানতে পারে। এ বিষয়টিই আমাদের আরও কাজ করতে উৎসাহিত করে। ’
অজেরের আন্তর্জাতিক লক্ষ্য হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশ, যেমন- বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, উগান্ডা, রুয়ান্ডায় দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ওয়্যারলেস মোবাইল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা, যেখানে মাত্র শতকরা ৪ থেকে ২৪ ভাগ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এই হার উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম।
‘সবার জন্য ব্রডব্যান্ড’- এই লক্ষ্য নিয়ে ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন টেলিকম নির্বাহীদের নিয়ে অজের প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ওয়্যারলেস মোবাইল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটসেবা প্রদান করার মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জনে বদ্ধপরিকর।
টেলিযোগাযোগ ইন্ডাস্ট্রিতে ১৫০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে অজেরের। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কোম্পানিটি ২৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারতের মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়, উগান্ডা, রুয়ান্ডা এবং তানজানিয়াতে অজেরের স্পেকট্রাম রয়েছে। অচিরেই এশিয়া এবং আফ্রিকায় এর বিস্তৃতি ঘটবে।
বাংলাদেশ সময় : ১৬৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১২
সম্পাদনা : আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর