ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অবাধে ফেসবুক তথ্য বিক্রি!

সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১২
অবাধে ফেসবুক তথ্য বিক্রি!

আবারও ব্যক্তিতথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। নাটের গুরু ফেসবুক।

সামাজিক সাইটে চটকদার অ্যাপের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে সব ধরনের ব্যবসায়ীক তথ্য। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

এখন ভোক্তার ‘প্রাইভেসি’ অধিকারের একেবারেই তোয়াক্কা না করে প্রাপ্ত সব ধরনের তথ্যকে অবাধে ব্যবসায়ীক মহলের কাছে বিক্রি করছে ফেসবুক। আর এটি সংগ্রহ করা হয় ফেসবুক ‘অ্যাপ’ ডাউনলোডের সময়েই।

এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ফেসবুকের ১০০টি নির্বাচিত অ্যাপ পরীক্ষার পর তদন্ত প্রতিবেদনে এ প্রক্রিয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। অ্যাপের মাধ্যমে ফেসবুক ভোক্তার ইমেইল ঠিকানা, তাৎক্ষণিক অবস্থান, ব্যক্তি পছন্দ-অপছন্দ ছাড়াও ব্যবসাযোগ্য তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে।

এ ছাড়াও ফেসবুকভিত্তিক একটি ইয়াহু সাইটের মাধ্যমেও একই অবস্থা শণাক্ত করা হয়েছে। এখানে ধর্মভিত্তিক এবং রাজনৈতিক মতবাদকেও গুরুত্বপূর্ণ এবং বিক্রিযোগ্য উপাত্ত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

অনলাইন ফোনভিত্তিক জনপ্রিয় সেবাদাতা স্কাইপিও ফেসুবকে দৃশ্যমান ছবি, জন্ম তারিখ, ব্যক্তি পছন্দ ছাড়াও নির্দিষ্ট গ্রাহক এবং তার বন্ধুদের সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধানে তা সংগ্রহ করছে। এ নিয়ে অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

যদিও ফেসবুক বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই বলছে তারা ভক্তদের একেবারেই বিনামূল্যে সেবা দিচ্ছে। কিন্তু নেপথ্যে আছে তথ্য বিক্রির অশনি উদ্দেশ্য। আর পরবর্তীতে এ তথ্যগুলোকে প্যাকেজ অকার বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে দিয়ে দেওয়া হয়। এটি প্রতারণা সামিল। আর তথ্যভিত্তিক এ অপচর্চা কোনোভাবেই কারও জন্য প্রত্যাশিত নয়।

আন্তর্জতিক পরিমন্ডলে ব্যবসা উদ্দেশ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব আর বাণিজ্যকরণে অ্যাপ তৈরি শুরু হয়। এরই মধ্যে এ অ্যাপ সংস্কৃতি বিশ্বব্যাপী দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি ইন্টারনেট সংস্কৃতির জন্য শুভারম্ভ তো বটেই। কিন্তু উন্মুক্ত ব্যক্তিতথ্য চর্চায় এমন পরিকল্পনা মোটেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষক আর পর্যবেক্ষকেরা।

নিজের একান্ত, পারিবারিক এবং ব্যক্তিতথ্য উপস্থাপনে আরও বেশি সতর্ক হওয়া দরকার। এ বিষয়ে ফেসবুক ভোক্তাদের মূল্যবোধের বিষয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্বের সবগুলো পর্যবেক্ষক এবং গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিরা। আর তাই ব্যক্তিগত মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করার বিষয়টি এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময় ২১৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।