ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আইটি প্রশিক্ষণে স্কলারশিপ

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১২

আবারও আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ পরিচালিত আইটি স্কলারশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের আবেদনপত্র জমা নেওয়া শুরু হয়েছে। এবারে ১৮তম ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে।



আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ (ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-বাংলাদেশ ইসলামিক সলিডারিটি এডুকেশনাল ওয়াকফ) ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথউদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের যেকোনো শাখা থেকে ১০০ টাকার বিনিময়ে আবেদনপত্র পাওয়া যাচ্ছে। ২১ জুন পর্যন্ত আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে।

আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউয়ের আয়োজনে এ আইটি স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন করার প্রাথমিক যোগ্যতা হচ্ছে ন্যূনতম বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা মাদরাসা থেকে গ্রাজুয়েট বা সমমানের ডিগ্রি। সিভিল/আর্কিটেকচার ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য আছে বিশেষ প্রশিক্ষণ ‘আর্কিটেকচার অ্যান্ড সিভিল ক্যাড’।

এ পেশাদরি প্রশিক্ষণে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। তবে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ থাকতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল, এগ্রিকালচার ও কমপিউটারে স্নাতক কোনো প্রার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে না।
আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউয়ের প্রধান নির্বাহী নিয়াজ খান বলেন, প্রত্যেক নির্বাচিত প্রার্থী পাচ্ছে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা সমমূল্যের প্রশিক্ষণ। সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের ভেন্ডর সার্টিফিকেশন। এ ছাড়া তাদের প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা হারে ভাতা প্রদান করা হয়।

নিয়াজ খান বলেন, এ স্কলারশিপের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নির্বাচিত আইটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানসম্মত প্রশিক্ষণ। সফলভাবে কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানে সহায়তা করা হয়। তিনি জানান, এ পর্যন্ত ১৩টি রাউন্ডে ২ হাজার আট শ শিক্ষার্থী সফলভাবে প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেছে। এদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ শিক্ষার্থীই এ মুহূর্তে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।

এ স্কলারশিপ কার্যক্রম ২০০২ সালে হাতে নেওয়া হয়। ২০০৩ সাল থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়। এ পর্যন্ত ১৩টি রাউন্ডের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। এখন ১৪ থেকে ১৬তম রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ চলছে। ১৭তম রাউন্ডের নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে এবং ১৮তম রাউন্ডের আবেদনপত্র জমা নেয়ার কার্যক্রম বর্তমানে চলছে।

এ পর্যন্ত প্রথম থেকে ১৬তম রাউন্ডে সর্বমোট ৫ হাজার ৭৫২ জন গ্র্যাজুয়েট এ স্কলারশিপের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। মূলত অর্থনৈতিকভাবে দূর্বল পরিবার থেকে আসা শিক্ষিত মুসলিম যুবকদের আন্তর্জাতিক মানের তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানে সহযোগিতা করাই এ কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশ সময় ২১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১২

সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।