বিশ্বজুড়েই চলছে ইন্টারনেট আর কাগুজে বিজ্ঞাপনের টানটান লড়াই। তবে এগিয়েছে ইন্টারনেট বিজ্ঞাপনই।
অনলাইন বিজ্ঞাপনে ইতিহাস হয়ে থাকবে ২০১১ সাল। গত বছর ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলারের অনলাইন বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। এটি তো শুধু নিবন্ধিত বিজ্ঞাপনের আয়। অনিবন্ধিত বিজ্ঞাপনের সংখ্যা আরও বেশি বলে ইন্টারনেট অ্যাডভার্টাইজিং ব্যুরো (আইএবি) সূত্র জানিয়েছে।
২০১০ সালে অনলাইন বিজ্ঞাপনে আয় ছিল ২ হাজার ৬০০ কোটি। কিন্তু মাত্র এক বছরের ব্যবধানে এ আয় ৫ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আর প্রবৃদ্ধির হিসাবে শতকরা ২২ ভাগ বাড়তি। অনলাইন শিল্পের জন্য এটি দারুণ ইতিবাচক।
ইন্টারনেট অ্যাডভার্টাইজিং ব্যুরোর সভাপতি এবং প্রধান নির্বাহী র্যানডাল রোটেনবার্গ জানান, এটি সত্যিই দারুণ ইতিবাচক খবর। ডিজিটাল মিডিয়ার জন্য সুসংবাদ। কাগুজে পত্রিকার চেয়ে সচেতন পাঠকরা এখন অনলাইনেই বেশি সময় দেন। আর স্মার্টফোনের আর্বিভাবে এ বিপ্লবে এসেছে নতুন গতি, নতুন সম্ভাবনা।
ডিজিটাল মিডিয়াকে বিশেষজ্ঞেরা ইন্টারঅ্যাকটিভ অ্যাডভার্টাইজিং শিল্পমাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত করছেন। ইন্টারনেটে সার্চ, রিসার্চ, ডিসপ্লে, ডিজিটাল ভিডিও এবং ব্র্যান্ড প্রমোশনে বাজেট বরাদ্দ হওয়ায় এ নতুন বিজ্ঞাপন মাধ্যম দ্রুতই রেকর্ড গড়ছে, রেকর্ড ভাঙছে। সব মিলিয়ে বিজ্ঞাপনের নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে ইন্টারনেট শিল্পের কাছে ধরা দিচ্ছে।
এ শিল্পমাধ্যমে নতুন যুক্ত হয়েছে স্মার্টফোন আর ট্যাবলেট। ফলে প্রবৃদ্ধির গতি কোনো বাধাই মানছে না। চলছে অবিরাম, অবিরত। বিজ্ঞাপনী বাণিজ্যে তাই এসেছে নতুন মেরুকরণ। আর সফলতা যাচ্ছে ইন্টারনেট বিজ্ঞাপনের ঘরেই।
২০১১ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে এসে ৯০০ কোটি ডলারের অনলাইন বিজ্ঞাপনের রেকর্ড সূচিত হয়। এটি প্রবৃদ্ধির হিসাবে তৃতীয় ত্রৈমাসিকের তুলনায় শতকরা ১৫ ভাগ বাড়তি। এ বছর ইন্টারনেট বিজ্ঞাপনের আয় আরও বাড়বে বলে অনলাইন বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন। ইন্টারনেট অ্যাডভার্টাইজিং ব্যুরো এ ভবিষ্যৎ বার্তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে।
অনলাইন মিডিয়া গুটি গুটি পায়ে এগোচ্ছে এমনটাই অনেকের ধারণা। তবে এ ডিজিটাল বিজ্ঞাপনমাধ্যম এরই মধ্যে কাগুজে প্রকাশনার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সত্য নিয়ে খুব বেশি বিতর্কের আর সুযোগ থাকছে না। এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞেরাও।
বাংলাদেশ সময় ১৯০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১২