ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

নতুন নিয়মে ফেসবুক

সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১২
নতুন নিয়মে ফেসবুক

সামাজিক সাইট নিয়ে নিত্যনতুন বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে ব্যক্তিতথ্য অধিকারের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে।

আর তাই ভোক্তাদের তথ্য অধিকারকে আরও সুনিশ্চিত করতে অচিরেই ফেসবুক নতুন কিছু শর্তারোপ করতে যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

এ জন্য ভোক্তাদের কাছ থেকে মতামতও নিয়েছে ফেসবুক। এর ফলে ফেসবুক ভোক্তারা ব্যক্তিতথ্য বিনিময়ে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার সুযোগ পাবেন। এতে ‘প্রাইভেসি’র বিষয়টিও সুনিশ্চিত হবে।

তবে নতুন শর্তে কি কি পরিবর্তন আসছে তা সুস্পষ্ট করেনি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তবে ছবি (ইমেজ) আর ভিডিওচিত্রের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। এ দুটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে।

কারণ ভোক্তারা এ দু ধরনের তথ্য বিনিময়ে আরও বেশি সুরক্ষা এবং নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন। আর এ আবেদনকে সর্বোচ্চ আমলে নিয়েছে ফেসবুক। নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে ২০০৯ সালে সামাজিক নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে ফেসবুক একটি খসড়া নীতিমালার ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য স্টেটমেন্টস অব রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সিবিলিটিস (এসআরআর) এর মাধ্যমে নীতিনির্ধারণ করে ফেসবুক।

তবে এ আইনে ব্যাপক ভোক্তা অভিযোগ এবং অসন্তুষ্টির সৃষ্টি হয়। বিশ্ব গণমাধ্যমেও এ নিয়ে সমালোচনা ঝড় বয়ে যায়। আর তাতেই টনক নড়ে ফেসবুকের।

তবে নতুন নীতিমালা বাস্তবায়নের আগে ভোক্তাদের কাছে তা সুনির্দিষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করে উপস্থাপন করা হবে। তখন চূড়ান্ত মতামতও গ্রহণ করবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। আর এ প্রক্রিয়াকে সুসম্পন্ন করতে প্রশ্নোত্তর আর বিষয়ভিত্তিক মতামত চাওয়া হবে।

আর নতুন নিয়মে ফেসবুকে এডিট এবং প্রশ্ন করার জন্য আলাদা অপশন তৈরি করা হচ্ছে। এ নতুন আইনের একটি খসড়াপত্র মার্চে তৈরি করা হয়। আর মতামত প্রদানে এ প্রশ্নপত্র উপস্থাপন করা হয়।

তবে ভোক্তা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফেসবুক বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে। এর মধ্যে তথ্য অধিকার আইন এবং ফিচারকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। ভৌগলিক কারণে বিশ্বের অনেক দেশে ফেসবুকের অনেক ফিচার উপভোগ করা যায় না। এ জন্য ইন্টারনেটেও গতিও দায়ী।

এ ছাড়া বিশ্বের অনেক দেশের সরকার অযৌক্তিক কারণে ফেসবুককে সেদেশে নিষিদ্ধ করেছে। এ জন্য ফেসবুক ভোক্তারা ফেসবুককেও দোষারোপ করেন। অথচ সরকারকে ফেসবুক অবমুক্ত করার বিষয়ে কোনো অবস্থান নেন না। এতে পুরো দায়টাই চাপে ফেসবুকের কাঁধে।

কাজেই ফেসবুককে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হলে তা ভোক্তাদের ভোগান্তি কারণ হয়ে উঠে। অথচ এ বিষয়টি আমলে না নিয়ে একটি কর্তৃপক্ষ অযাচিতভাবে ফেসবুককে দোষারোপ করে বলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে ফেসবুক।

তবে নতুন শর্তারোপের প্রকৃত বাস্তবায়ন হলে এসব অস্থায়ী সমস্যার সমাধান হবে। ভোক্তারা ফেসবুককে আরও বেশি ভোক্তাবান্ধব অবয়বে দেখতে পারবে। এটা ফেসবুকের ভবিষ্যতকে আরও বেশি টেকসই এবং ভোক্তাবান্ধব করবে। এমনটাই মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকেরা।

বাংলাদেশ সময় ১৯০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।