ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

৬ মাসে দৃশ্যমান হবে শেখ কামাল আইটি ইনস্টিটিউটের কাজ: পলক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৪
৬ মাসে দৃশ্যমান হবে শেখ কামাল আইটি ইনস্টিটিউটের কাজ: পলক

নারায়ণগঞ্জ: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, আজ থেকে ১৫ বছর আগে সন্ত্রাসের এলাকা ছিল নারায়ণগঞ্জ। উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকা ছিল নারায়ণগঞ্জ।

আজকে মাত্র ৪০ মিনিটে এ শিল্পকলা একাডেমিতে এসে উপস্থিত হয়েছি আমি। শামীম ওসমান ভাইয়ের ড্রিম প্রজেক্ট লিংক রোড। এটা এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে গেছে। তার আরেকটা ড্রিম প্রজেক্ট মেডিকেল কলেজ হবে, শেখ কামাল আইটি ইনস্টিটিউট হবে এখানে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে শহরের কালিরবাজারে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

পলক বলেন, আমি আজকে আসার সময় শেখ কামাল আইটি ইনস্টিটিউটের কাজটি পরিদর্শন করে এসেছি। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এটা দৃশ্যমান হবে। ছয় বছরের মধ্যে এখানে বিল্ডিং হবে। তখন হাজার ছেলে-মেয়ের কর্মসংস্থান হবে এখানে। নারায়ণগঞ্জের মাটি থেকে বসে তারা বড় বড় দেশের আউটসোর্সিং করবে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তারা নেতৃত্ব দেবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে যদি আমরা আমাদের বোনদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারি এবং তারা একটা স্টার্ট-আপ যদি ফান্ড পায়। সেটা দিয়ে যদি স্টার্ট-আপ করতে পারে। আর প্রযুক্তির জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার একটি ল্যাপটপ পায়। তাহলে তারা আত্মনির্ভরশীল হবে। তাদের কারও ওপর নির্ভর হতে হবে না।

পলক বলেন, আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমানের এত বড় বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেগুলো শুধু তার বা তার পরিবারের জন্য নয়। হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এখানে। একজন যদি চাকরির পেছনে ছোটে তাহলে তার পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতার ব্যবস্থা করতে পারে। আর যদি উদ্যোক্তা হয় তাহলে সে অনেক পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতার ব্যবস্থা করতে পারে।

গত ১৫ বছরে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় আমাদের ৫০ হাজারের বেশি ছেলে-মেয়ে হার্ডওয়্যার ম্যানুফেকচারের কাজ করছে।

গত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। ১৯৯২ সালে একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার ন্যূনতম জ্ঞান ছিল না বলেই সে সময় সাবমেরিন কেবল নেয়নি। সে কারণেই বাংলাদেশ ৫০ বছর পিছিয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে আমি এখানে এর জন্য তিনজন নারীর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। একজন হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার জন্য আমি এখানে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আরেকজন নারী হলেন আমার মা যিনি আমার চোখে পৃথিবীর সেরা শিক্ষক। আরেকজন হলেন আমার অর্ধাঙ্গিনী। সে নিজে ছাত্র জীবনে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করেছিল। ২০০১ সালে যখন মামলা মাথায় পালিয়ে থাকতে হয়েছে তখন আমার স্ত্রী আমাকে সাহস যুগিয়েছে। আজ নারী দিবসে এ তিন নারীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলে অন্যায় হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২৪
এমআরপি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।