ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইউনিফাইড লাইসেন্স পেল গ্রামীণফোন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৪
ইউনিফাইড লাইসেন্স পেল গ্রামীণফোন

ঢাকা: সেলুলার মোবাইল সার্ভিসের জন্য সেলুলার মোবাইল সার্ভিসেস অপারেটর লাইসেন্স ও রেডিও কমিউনিকেশন অ্যাপারেটাস লাইসেন্স ফর সেলুলার মোবাইল সার্ভিসেস নামে ইউনিফাইড লাইসেন্স পেল দেশের স্মার্ট কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন।

সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিটিআরসি ভবনে গ্রামীণফোনকে এ লাইসেন্স দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ইয়াসির আজমানের হাতে লাইসেন্সগুলো হস্তান্তর করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ ও উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর মাধ্যমে বিদ্যমান টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি লাইসেন্সকে একীভূত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ফাইভজি ও পরবর্তী প্রযুক্তির সেবাগুলোকে নতুন লাইসেন্সে অন্তর্ভুক্ত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নতুন এ লাইসেন্সিং ব্যবস্থা টেলিকম ইকোসিস্টেমকে আরও উন্নত করবে, যার ফলে সেরা গ্রাহক সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে।

বিদ্যমান ও ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির জন্য একইসঙ্গে প্রযোজ্য নতুন এ লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া মানুষের যোগাযোগ সক্ষমতা বাড়াবে এবং টেলিকম সেবার সহজীকরণে ভূমিকা রাখবে, যা টেলিকম সেবা নিয়ন্ত্রণ জটিলতাগুলো কমবে, দক্ষতা বাড়বে এবং সেবার মান উন্নত হবে। একইসঙ্গে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের সঙ্গে মিল রেখে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে আরও উন্নত সেবা পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে।  

ইউনিফাইড লাইসেন্সিং ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়ে গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, এ সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য নিয়ন্ত্রক ও সরকারি সংস্থা এবং নীতিনির্ধারকদের আমরা ধন্যবাদ জানাই। ইউনিফাইড লাইসেন্স পাওয়ার মাধ্যমে গ্রামীণফোন নতুন যুগের সূচনা করলো, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের পথকে আরও শক্তিশালী করবে এবং এ আগ্রগতিতে নতুন অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। এ লাইসেন্স আমাদের স্মার্ট ভিশনের পথকে প্রশস্ত করবে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াবে। সেরা গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে ও ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি একটি স্মার্ট, টেকসই বাংলাদেশ গড়তে আমরা বদ্ধপরিকর। স্মার্ট ডিভাইস, এআই ও সংযুক্ত প্রযুক্তি দ্বারা প্রভাবিত ভবিষ্যতের জন্য আমরা একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করতে চাই, যা আমাদের গ্রাহকদের জীবনকে নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ও আনন্দময় করে তুলবে।

ইউনিফাইড লাইসেন্সের ফলে নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে টেলিকম খাত আরও প্রতিযোগিতামূলক হবে। ফলে উন্নত সেবা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে উপকৃত হবেন গ্রাহকরা। এছাড়া এ লাইসেন্সিং নীতিমালায় সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সরকারের গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে, যা ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে সুরক্ষায় এটি অত্যন্ত সময়োপযোগী ও কৌশলগত ভূমিকা রাখবে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে সাইবার হুমকির বিরুদ্ধে শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরিতে নতুন লাইসেন্সিংয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যা ডিজিটাইজেশনের বৈশ্বিক রূপান্তরের অংশ হিসেবে দেশের টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর সক্ষমতা ও আস্থা নিশ্চিতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৪
এমআইএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।