বিসিএস আয়োজিত চার দিনব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী ২ নভেম্বর শেষ হচ্ছে। বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) উদ্যোগে শেষদিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ লক্ষ্য ও অর্জন’ শীর্ষক সেমিনার।
এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিএস সভাপতি মোস্তফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের (আইসিটি) পরামর্শক মুনির হাসান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সভাপতি মাহবুব জামান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশনের বিশেষজ্ঞ নাঈমুজ্জামান মুক্তা, ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক টিআইএম নূরুল কবির এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) সদস্য সুমন আহমেদ সাবির।
এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিসিএস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার। মূল বিষয় উপস্থাপন করেন বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের (আইসিটি) পরামর্শক মুনির হাসান। পরামর্শক মুনির হাসান ডিজিটাল বাংলাদেশ কী এবং এ মুহূর্তে কী এ অগ্রযাত্রার সফল দিকগুলো উপস্থাপন করেন।
প্রধান অতিথি ইয়াফেস ওসমান বলেন, সংশ্লিষ্ট সবাই একযোগে সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব। এজন্য তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল থেকে শুরু করে সব পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সভাপতি মাহবুব জামান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এ সময়ের একটি সম্ভাবনা। এর গুরুত্ব অনেক বেশি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে সামনে রেখে দেশের প্রতিটি জেলা পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। দেশের ইউনিয়নগুলোতে ইউনিয়ন ইনফরমেশন সার্ভিস সেন্টার প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। এরই মধ্যে বেশকিছু ইউনিয়নের সেবাকেন্দ্র থেকে প্রযুক্তিভিত্তিক তথ্যসেবা পাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
তবে আরও কিছু বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। যেমন ভিওআইপি উন্মুক্তসহ বিকল্প সাবমেরিন কেবল সংযোগ পেতে দ্রুতই কাজ শুরু করা উচিত। এছাড়াও তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি (থ্রিজি) সম্প্রসারণে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলে আলোচকরা মনে করেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৯১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১০