ঢাকা, শনিবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২৮ জিলহজ ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

‘মাইক্রোসফট এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড ২০১০’ পেল বিবিসি জানালা

সাব্বিন হাসান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১০
‘মাইক্রোসফট এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড ২০১০’ পেল বিবিসি জানালা

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় সহায়তা করছে বিবিসি জানালা। এ বছরের ইন্টারন্যাশনাল টেক অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে ‘বিবিসি জানালা’ বিশ্বের মর্যাদাসম্পন্ন ‘মাইক্রোসফট এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড ২০১০’ পেয়েছে।

এ অনুষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে অনুষ্ঠিত হয়।

বিবিসি জানালার এ অভিনব সেবায় টেলিপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশের দরিদ্রতম মানুষদেরও সহজে ও সাধ্যের মধ্যে ইংরেজি শিখতে সহায়তা করছে। উল্লেখ্য, ১২ মাস আগে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস ট্রাস্ট বিবিসি জানালা নামে এ সেবা চালু করে। বিবিসি জানালার প্রতিটি পাঠের দৈর্ঘ্য ৩ মিনিট যা বাংলাদেশের শতকরা ৮৪ ভাগ ইংরেজি আগ্রহী মানুষকে নিজেদের ইংরেজি জ্ঞান বাড়ানোর সুযোগ করে দেওয়ার পথে অগ্রসর।

এ ইংরেজি জ্ঞান ভালো চাকরি, জীবনের মানোন্নয়নে এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সহায়ক হবে। এরই মধ্যে বিবিসি জানালার সেবা গ্রহণে ডায়ালকৃত প্রায় ৩০ লাখ ৫০ হাজার কল এ সেবার প্রাথমিক জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে। আর প্রতি মিনিটে মাত্র ৫০ পয়সা কলরেটের মাধ্যমে বিবিসি জানালা এমন সবব সাধারণ মানুষদের কাছে পৌঁছাতে চায়, যাদের দৈনিক আয় (২ পাউন্ড) ২৪০ টাকারও কম।

বিবিসি জানালার এ অর্জন সম্পর্কে টেক অ্যাওয়ার্ডের বিচারক এবং স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির ডিজিটাল ভিশন প্রোগ্রামের প্রাক্তণ পরিচালক স্টুয়ার্ট গানস বলেন, মানুষ ডিজিটাল বিভাজন দূরীকরণে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মানুষকে শিক্ষাপ্রদান পদ্ধতি শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে মোবাইল ফোন ছাড়াও বাংলাদেশের মানুষ আরও নানাভাবে ইংরেজি শেখা ও চর্চার সুযোগ পাচ্ছেন। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি মানুষ এখন বিটিভিতে প্রচারিত টিভি নাটক ‘বিশ্বাস’ এবং গেমশো ‘বিবিসি জানালা-মজায় মজায় শেখা’ অনুষ্ঠান দুটি উপভোগ করছেন।

যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ডিএফআইডি) অন্তর্ভুক্ত ইউকেএইড এর অর্থায়নে ‘ইংলিশ ইন অ্যাকশন’ প্রকল্পের আওতায় ২০১৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে ইংরেজিতে দক্ষ করে তুলতে বিবিসি জানালা কাজ করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ‘টেক অ্যাওয়ার্ড’ বিশ্বের প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, অর্থনৈতিক উন্নতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমতা ছাড়াও প্রযুক্তিগত অবদানকে স্বীকৃতি দেয়। এ বছর বিশ্বের বহু দেশ থেকে ১ হাজারেরও বেশি মনোনয়নের মধ্য থেকে শুধু ১৫ জনকে বিজয়ী হিসেবে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। এর মধ্যে নেদারল্যান্ড, ব্রাজিল, ভারত, যুক্তরাজ্য, ফিলিপাইন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

মাইক্রোসফটের করপোরেট সহসভাপতি ডানিয়েল লুইন এ পুরস্কার সম্পর্কে বলেন, আমাদের লক্ষ্য সাধারণ জনগণ ও প্রতিষ্ঠানকে শিক্ষাকেন্দ্রিক সহায়তা করা।

বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস ট্রাস্টের ইন্টারঅ্যাকটিভ বিভাগের প্রধান সারা চেম্বারলিন বলেন, প্রযুক্তিভিত্তিক মোবাইল ফোন কীভাবে মানসম্পন্ন ও সহজবোধ্য শিক্ষা মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষেরাও এ মাধ্যমে সহজে ইংরেজি শেখার সুযোগ পাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, বিবিসি জানালা বিশ্বের সব উন্নয়নশীল দেশে এ কার্যক্রম পরিচালনায় নতুন ধারা সংযোজন করবে। এ সেবা সম্পর্কে জানতে আগ্রহীরা www.bbcjanala.com এ সাইটে প্রবেশে বিস্তারিত তথ্য পাবেন।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭৪৮, নভেম্বর ১১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।