ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

দেশজুড়ে ছড়াচ্ছে আইসিটি নেটওয়ার্ক

মফিজুল সাদিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১৩
দেশজুড়ে ছড়াচ্ছে আইসিটি নেটওয়ার্ক

ঢাকা: ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ইন্টারনেটের ব্যবহার সর্বত্রই ছড়িয়ে দিতে সব বিভাগীয় দপ্তর এবং জেলা ও ৪৮৫টি উপজেলায় আইসিটি নেটাওয়ার্ক স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে।

৪৮৫টি উপজেলায় সাড়ে ১৭ হাজারের বেশি সরকারি অফিসে আইসিটি নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হচ্ছে।

বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ওয়াই-ফাই ও থ্রিজি এনাবলড ২৪ হাজার ৯৭টি ট্যাবলেট পিসি দেওয়া হবে।

এ কাজ তরান্বিত করতে মঙ্গলবার দুপুরে শেরেবাংলানগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘ন্যাশনাল আইসিটি ইনফ্রা নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশ গর্ভমেন্ট ফেইজ-২’ প্রকল্প চুড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।

সোমবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। একনেক সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় মন্ত্রী, সচিব ও মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।

এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা। এ ব্যয় মেটাতে সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হবে ২৪৬ কোটি টাকা। আর বৈদেশিক সাহায্য থেকে আসবে ১ হাজার ৮৭ কোটি টাকা।
 
এ প্রকল্পের উদ্যোক্তা মন্ত্রণালয় হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২০১৩ থেকে, জুন ২০১৫ সাল অবধি। প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল(বিসিসি)। এ প্রকল্পের উন্নয়ন সহযোগী দেশ চীন।
 
এ প্রকল্পের মাধ্যমে আরও কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বাংলাদেশ সচিবালয় এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে (বিসিসি) ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে। বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাব-ডাটা  সেন্টার স্থাপন করা। এ ছাড়াও আপদকালীন সমস্যা মোকাবেলায় যশোরে ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টার স্থাপন করা হবে।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় এবং ট্রেনিং সেন্টারগুলোর বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে ৮০০টি ভিডিও কনফারেন্স সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে (বিসিসি) ১টি, বিটিসিএলে ১টি এবং বিভিন্নি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২টি নেটওয়ার্ক প্রশিক্ষণ ল্যাব বসানো হবে।

এ ছাড়া মঙ্গলবার একনেক সভায় মোট ৯টি প্রকল্প চুড়ান্ত অনুমোদন করা হবে। যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে আসবে ২ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা। আর বৈদেশিক সাহায্য থেকে আসবে ১ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।

‘বঙ্গবন্ধু ফেলেশিপ অন সাইন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনলজি’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৬ কোটি টাকা। এর সব টাকা সরকারি তহবিল থেকে আসবে।

বাংলাদেশ সময় ২১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১৩
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।