ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অনলাইনেই দেশের ৮০ ভাগ ব্যাংকিং সেবা

আইসিটি রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৩
অনলাইনেই দেশের ৮০ ভাগ ব্যাংকিং সেবা

আগামী ৭ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্বের অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র লন্ডনের গ্লুচেস্টার মিলিনিয়াম হোটেলে তিন দিনব্যাপী ‘যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ ই-বাণিজ্য প্রদর্শনী ২০১৩’ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং কমপিউটার জগৎ যৌথভাবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করছে।



এ উপলক্ষে ১৬ জুলাই সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা জানান, বাংলাদেশে ই-বাণিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে কমপিউটার জগৎ আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বছরের প্রথম দিকে একটি কর্মসূচি হাতে নেয়। এ কর্মসূচির আওতায় ধারাবাহিকভাবে দেশের ভেতরে-বাইরে বিভিন্ন শহরে ই-বাণিজ্য প্রদর্শনীর আয়োজনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে লন্ডনে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ ই-বাণিজ্য প্রদর্শনীর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনিন সুলতানা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আসাদ আলম সিয়াম এবং কমপিউটার জগৎ এর কারিগরি সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল।

এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া ছিলেন বেসিসের সাবেক সভাপতি মাহবুব জামান।

হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশে তিনটি সফল ই-বাণিজ্য প্রদর্শনীর পর বিদেশের মাটিতে ই-বাণিজ্য প্রদর্শনীর আয়োজন এটাই প্রমাণ করে বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা অনেকাংশে বাস্তবায়িত করছে। দেশে ই-বাণিজ্য চালু হওয়ার পরপরই এ সেবাগ্রহীতাদের সময়, শ্রম, ভোগান্তি কমেছে।

ঘরে বসে স্বল্প সময়ে দেখেশুনে পণ্য কেনার সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিদেশে এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি আছেন। শুধু লন্ডনেই ৫ লাখের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি আছে। এদের অনেকেই প্রযুক্তি বিদ্যায় দক্ষ। সেখানেই অনেক ক্রেতা, ভোক্তা আছেন যারা বাংলাদেশের পণ্য ও সেবা ব্যবহারে ভালবাসেন।

লন্ডনে ই-বাণিজ্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে এ বিশাল জনগোষ্ঠির মধ্যে সচেতনতা তৈরি হবে। তারা বিদেশ থেকেই দেশের পণ্য কিনে প্রিয়জনকে পাঠাতে ও নিজে ব্যবহার করতে পারবেন। ই-বাণিজ্যকে সম্প্রসারিত করতে পারলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। যত বাধাই আসুক না কেনো, তথ্যপ্রযুক্তির বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই।

আইসিটি সচিব নজরুল ইসলাম খান জানান, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের তুলনায় বাংলাদেশ ই-বাণিজ্যে অনেকাংশে পিছিয়ে। এ বিষয়টি জানার পর আমরা কমপিউটার জগৎ এর সঙ্গে প্রথমে ঢাকা ও পরে সিলেট এবং চট্রগ্রামে ই-বাণিজ্য প্রদর্শনীর আয়োজন করি।

সিলেটের অনেক প্রবাসী লন্ডনে বসবাস করেন। তারা প্রতিনিয়ত প্রিয়জনদের বিভিন্ন পণ্য পাঠান। তাই সিলেটের প্রদর্শনীর পর লন্ডনে প্রদর্শনী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ই-বাণিজ্যের গ্রোথ ন্যূনতম ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা। নতুন উদ্যোক্তা ও সচেতনতা তৈরি। লন্ডনে ই-বাণিজ্য প্রদর্শনীর পর নিউ ইয়র্ক ও মধ্যপ্রাচ্যে ই-বাণিজ্য প্রদর্শনীর করার পরিকল্পনা আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনিন সুলতানা বলেন, ই-বাণিজ্যের প্রসারে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের ৮০ শতাংশ ব্যাংক এখন অনলাইন সেবা দিচ্ছে। ৬০ লাখের অধিক গ্রাহক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নিচ্ছে।

অচিরেই যে কেনো ব্যাংকের গ্রাহক যাতে অন্য ব্যাংকে সহজে লেনদেন করতে পারে ও যে কোনো এটিএম বুথ থেকে যে কেনো ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করতে পারে এ ব্যবস্থা চালু করা হবে। এক্ষেত্রে নীতিমালা পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে তাও করা হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আসাদ আলম সিয়াম বলেন, ই-বাণিজ্য প্রদর্শনী একটি দূরদর্শী পদক্ষেপ। প্রবাসীদের সঙ্গে দেশের সম্পৃক্ততা রাখতে এ ই-বাণিজ্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, নতুন মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশব্যাপী ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র, দেশের তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তিনির্ভর পেশায় সম্পৃক্ত করতে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার যে পরিকল্পনা আছে তাও ই-বাণিজ্যের মাধ্যমে সম্ভব। তাই এ প্রদর্শনী দেশের অর্থনীতিতে নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।

কমপিউটার জগৎ এর কারিগরি সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, এটি নিছক একটি ই-বাণিজ্য প্রদর্শনীই নয়। এটি হবে লন্ডনে ডিজিটাল বাংলাদেশেরই আংশিক উপস্থাপন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ই-বাণিজ্য সম্পর্কে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেমন জানার সুযোগ পাবেন, তেমনি অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানও তাদের পণ্য এবং সেবা বৃহত্তর পরিবেশে প্রদর্শন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময় ১৭১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৩
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।