দেশের আইটি গ্রাজুয়েট ও পেশাজীবিদের আন্তর্জাতিক দক্ষতা পরিমাপের জন্য আইটিইই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সার্টিফিকেট অর্জন জরুরি। এমন মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খান।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ আগস্ট কক্সবাজারে বাংলাদেশে আইটিইই পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৩ দিনব্যাপী মাস্টার ট্রেইনার কোর্স সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহযোগিতায় বাংলাদেশি আইটি পেশাদারদের জন্য শুরু হয়েছে এ ইনফরমেশন টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ার্স এক্সামিনেশন-আইটিইই।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশফাক হুসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম-প্রধান এস এম নাসির উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক রুহুল আমীন, প্রকল্প পরিচালক ড. শেখ আমজাদ হোসেন, প্রকল্পের প্রধান উপদেষ্টা হিদিও হোয়া, প্রকল্প ব্যবস্থাপক রাবিউল ইসলাম এবং প্রকল্পের সমন্বয়ক আকিহিরো সুজি।
প্রকল্প পরিচালক শেখ আমজাদ বলেন, বিডি-আইটেক আগামী অক্টোবর এবং এপ্রিল মাসে দুটি ট্রায়াল পরীক্ষা আয়োজন করবে। এ দুটি পরীক্ষার সফল আয়োজনের পর বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে আইটিইই পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর লক্ষ্যে আগামী জুনে আইটিপেকের সদস্য পদের জন্য আবেদন করবে। আলোচনা শেষে ২১ জন প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীন বাংলাদেশ আইটি ইঞ্জিনিয়ারস এক্সামিনেশন সেন্টারের (বিডি-আইটেক) মাধ্যমে দেশে প্রথমবার জাপান সরকারের সহায়তায় তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবীদের দক্ষতা পরিমাপক আইটিইই পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হতে যাচ্ছে।
জাপানে এটি আইটি প্রফেশনালদের মান নিয়ন্ত্রক হিসেবে জাতীয় পরীক্ষা পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত এবং বছরে পাঁচ থেকে ছয় লাখ পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এশিয়ার ১২টি দেশে মিউচুয়ালি এ পদ্ধতি চালু আছে।
বাংলাদেশে এ পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর ফলে দেশের আইটি পেশাজীবীরা তাদের দক্ষতার পরিমাপ করতে পারবেন। এ সার্টিফিকেট অর্জনের ফলে দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। এ সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে আইটি খাতে বিদেশে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ সময় ১৮২১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৩
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর/আরকে
