ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

রঙিন আইফোন

আইফোন ৫এস, ৫সি মডেল প্রকাশ

সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৩
আইফোন ৫এস, ৫সি মডেল প্রকাশ

ইতিহাস তৈরি করল অ্যাপল। দীর্ঘদিনের ধ্যানধারণা থেকে একেবারেই সরে এসে অ্যাপল উন্মোচন করল কমদামি আইফোন ৫সি।

সঙ্গে আছে আইফোন ৫ মডেলের অভিনব আর গতিশীল সংস্করণ ৫এস। সবচেয়ে বড় বৈচিত্র্য এসেছে রঙে আর দামে। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ স্মার্টফোনের বাজার ভারত, চীন আর জাপান এবার অ্যাপলের অন্যতম লক্ষ্য। এ ত্রিদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার ইমার্জিং মার্কেটে এবারে আইফোন নবউদ্যোগে যাত্রা শুরু করল। সামনে তাই কঠিন পরীক্ষা।

আইফোন ‘৫এস’ মডেল এসেছে তিনটি ভিন্ন রঙে। সোনালি, সাদা আর কালো। এ মডেলের মূল অবয়ব তৈরি করা হয়েছে অ্যালুমিনিয়াম ধাতুর সংমিশ্রণে।

আইফোন ৫এস মডেলের কারিগরি বৈশিষ্ট্যেয় নতুন সংযোজন ‘এ৭’ প্রসেসর। এটি স্মার্টফোনে ব্যবহৃত বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার গতির প্রসেসর। এর শক্তি একটি ৬৪ বিট ডেস্কটপ কম্পিউটার মতো। স্মার্ট দৃশ্যপটে দুর্দান্ত রঙিন আবহ আর গতিকে আরও দ্বিগুণ করেছে এ কম্পিউটার ঘরানার প্রসেসর।

আইফোন ৫এস মডেলে আছে ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ডুয়্যাল-লেড ফ্ল্যাশ, ক্যামেরা সেন্সরে গতি বেড়েছে ১৫ ভাগ। কিন্তু এ কাজে ব্যাটারির ওপর মোটেও কোনো চাপ পড়বে না। মাত্র দু সেকেন্ডেই এ ক্যামেরা ২০টি ছবি ফ্রেমবন্দি করতে পারদর্শী।

এ ছাড়াও ৭২০ পিক্সেলে ভিডিওচিত্র ধারণ করবে ১২০ ফ্রেম/প্রতি সেকেন্ডে। এইচডি ফরম্যাটে ১০৮০ পিক্সেলে ভিডিও রেকর্ড করা যাবে ৫এস মডেল দিয়ে। এটি স্মার্টফোনের ইতিহাসে একটি অনন্য সংযোজন।

কারিগরি দক্ষতার প্রশ্নে ৫এস মডেলে যুক্ত করা হয়েছে ‘এম৭’ চিপ। একইসঙ্গে অপারেটিং পরিচালনা আর গ্রাফিকস প্রদর্শনে আলাদা চিপ ব্যবহৃত হচ্ছে আইফোন ৫এস মডেলে।

তবে শক্তিশালী দুটি চিপ ব্যবহৃত হলেও এর কোনো প্রভাব পড়বে না ব্যাটারি লাইফে। এবারে থ্রিজি নেটওয়ার্কে একটানা ২৫০ ঘণ্টা স্ট্যান্ডবাই আর ১০ ঘণ্টা টকটাইম সুবিধা পাবেন আইফোন ভক্তরা।

আরও আছে ওপেনজিএল ৩.০ স্ট্যান্ডার্ড সাপোর্ট। স্মার্টফোনের সব ধরনের গ্রাফিকসকে জীবন্ত করে তুলতে এ সিস্টেম কাজ করবে। সম্প্রতি অ্যানড্রইড ৪.৩ (জেলি বিন) সংস্করণেও এ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। জটিল ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট আর স্মার্টফোন গেমকে অনবদ্য করে তুলতেই এ সংযোজন এসেছে আইফোনে।

এবারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিচার হচ্ছে বায়োমেট্রিক টাচ আইডি। একে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার বলা হচ্ছে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট আইফোন ব্যবহারকারীর আঙ্গুলের স্পর্শ ছাড়া এ ফোনকে আনলক করা যাবে না। ব্যক্তি নিরাপত্তার প্রশ্নে এটি দারুণ এক সংযোজন হিসেবে দেখছেন আইফোন বিশ্লেষকেরা।

অ্যাপলের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফিলিপ বলেছেন, স্মার্টফোন বিশ্বে আইফোন ৫এস এখন নব যুগের সূচনা করেছে। হাতেই ডেস্কটপ কম্পিউটারের গতি নিশ্চিত করবে খুদে আইফোন ৫এস। ডিজাইনশৈলী, অভিনবত্ব আর বৈশিষ্ট্যগুণে আইফোন ঐতিহ্যে ধরে রাখতে নতুন মাত্রা যুক্ত করল।

রঙের বৈচিত্র্য ৫এস এসেছে তিন রঙে। আর ৫সি মডেল পাওয়া যাবে ৫টি বর্ণিল রঙে। দুটি মডেলেই থাকছে একই ধরনের প্রসেসর। তবে অবয়ব তৈরিতে আছে ভিন্নতা। আইফোন ৫এস তৈরি অ্যালুমিনিয়াম ধাতুতে। আর ৫সি তৈরি হয়েছে প্ল্যাস্টিক ধাতুর সংমিশ্রণে। তাই দামের তারতম্যে আনতে এখানেই কিছুটা সংযোজন-বিয়োজন করেছে অ্যাপল।

আসছে ২০ সেপ্টেম্বর থেকেই বিশ্ববাজারে আইফোন ৫এস মডেলে বাণিজ্যিক বিপণন শুরু হবে। এ মুহূর্তে অপারেটর চুক্তিশর্তে ১৬জিবি (১৯৯ ডলার), ৩২জিবি (২৯৯ ডলার) এবং ৬৪জিবি (৩৯৯ ডলার) বিক্রি হবে।

আইফোন ৫এস মডেল বিপণনের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও পৌঁছে যাবে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, হংকং, জাপান, সিঙ্গাপুর এবং যুক্তরাজ্যের শহরগুলোতে।

আর অনলাইন আইফোন ৫এস বিপণন করবে অ্যাটিঅ্যান্ডটি, স্প্রিন্ট, টি-মোবাইল এবং চিরচেনা ভেরিজন ওয়্যারলেস। অতীতেও অনলাইনে বিভিন্ন মডেলের আইফোন বিপণনে এ মাধ্যমগুলো কাজ করেছে।

বাংলাদেশ সময় ০২৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।