ঢাকা, শনিবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বছরে ৩০ ভাগ ইন্টারনেট গ্রাহক বাড়ছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৩
বছরে ৩০ ভাগ ইন্টারনেট গ্রাহক বাড়ছে

নিউ ইয়র্ক: সহস্রাব্ধ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল) অর্জনে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের ব্রডব্যান্ড কমিশন ফর ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট।

জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের মহাসচিব হামাদান টোরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধাকে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্রতম দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নেও মূল চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করেন।

এ জন্য বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি।

কমিশন সূত্র বলেছে, ইন্টারনেট সুবিধা ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল’ অর্জনকে ত্বরান্বিত করবে। এদিকে বিশ্বব্যাপী ব্রডব্যান্ড সুবিধা বিষয়ে জাতিসংঘের জরিপে বলা হয়, ২০১৩ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বে প্রতি ৫ জনের ২ জন ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও উন্নয়নশীল বিশ্বের দু-তৃতীয়াংশেরও বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ বঞ্চিত থাকবে।

জাতিসংঘের এ রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেন, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিশ্বে সবার সাধ্যের মধ্যে ব্রডব্যান্ড সংযোগ নিশ্চিত কর‍ার উদ্যোগ নিতে হবে। বিশ্ব এখন দ্রুত ‘ডিজিটালাইজড’ হচ্ছে। এখন শুধু ইন্টারনেট সংযোগ যথেষ্ট নয়। মোবাইল ফোনের অজ্ঞিতায় একই ধরনের সেবা দ্রুত ও সমানভাবে ছড়িয়ে দিতেও মহাসচিব গুরুত্ব দিয়েছেন।

জাতিসংঘের ‘ব্রডব্যান্ড কমিশন ফর ডিজিটাল ডেভলপমেন্ট’ এর দ্বিতীয় এ রিপোর্ট তৈরিতে বিশ্বের ১৬০টি দেশের ব্রডব্যান্ড সুবিধার ওপর জরিপ চালানো হয়।

ব্যক্তি ও বাসাবাড়িতে ব্রডব্যান্ড সুবিধায় ব্যয়, ব্যবহারে লিঙ্গভেদ, সরকারের ব্রডব্যান্ড নীতিমালা এবং উচ্চগতির প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধাদি পর্যালোচনা করে এ রিপোর্টটি তৈরি করেছে জাতিসংঘ।

রিপোর্টে বলা হয়, ২০১৩ সালের শেষ নাগাদ যখন বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ৩৮ দশমিক ৮ ভাগে উন্নীত হবে, তখন উন্নয়নশীল বিশ্বের দু-তৃতীয়াংশেরও বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবে না। এ ছাড়াও ৪৯টি অনুন্নত দেশের ৯০ ভাগেরও বেশি মানুষ ব্রডব্যান্ড সুযোগ বঞ্চিত থাকবে।

রিপোট প্রকাশ, প্রতি বছর স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও ওয়াইফাই যুক্ত ল্যাপটপের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩০ ভাগ হারে বাড়ছে। এ মুহূর্তে বিশ্বের ৭০টিরও বেশি অর্থনীতিতে অর্ধেকেরও বেশি মানুষের ইন্টারনেট সংযোগের সুযোগ নিশ্চিত হয়েছে।

এদিকে ইউনেস্কো সূত্র বলছে, ‘কনভেনশনাল ব্রডব্যান্ড’ গ্রাহক সেবার ফলে মোবাইল ফোনে ব্রডব্যান্ড সংযোগ মানব ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুততম বিকাশমান প্রযুক্তি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। ২০১৩ সালের শেষ নাগাদ এ মোবাইল ব্রডব্যান্ড সংযোগ তিনগুন বেড়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ কমিশন মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত সভায় ব্রডব্যান্ড সুবিধায় ‘লিঙ্গসমতা লক্ষ্যমাত্রা ২০২০’ নির্ধারণ করেছে। এ মুহূর্তে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দেশের মধ্যে ৮টি ইউরোপভুক্ত দেশ।

অন্য দুটি দেশ হচ্ছে ওশেনিয়া মহাদেশের নিউজিল্যান্ড ও এশিয়ার কাতার। নিউজিল্যান্ডের অবস্থান অষ্টম ও কাতারের দশম।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৩
এসকে/এমএমকে/এসএফআই/এসএইচ/জেসিকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।