ঢাকা: গভীর সমুদ্রে ইন্টারনেট তৈরির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি পানির নিচে ওয়াই ফাই নেটওয়ার্ক চালুর পরীক্ষা চালানো হয়েছে।
গবেষকরা জানান, পানির নিচে ইন্টারনেট চালু হলে মানুষ সহজেই সুনামির মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের আরো নির্ভরযোগ্য সতর্ক বার্তা মোবাইলে পাবে। এছাড়া এর মাধ্যমে যে কেউ ঘরে বসে পানির নিচের প্রাণিকুলের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
নরমাল ওয়াই ফাই বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে, আর সমুদ্রের তলদেশে এই প্রযুক্তি শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করবে। পার্থক্য হচ্ছে, বেতার তরঙ্গ স্বল্পমাত্রায় পানি ভেদ করতে পারে আর শব্দ তরঙ্গ শুধু পানি নয়, বিশালাকার তিমি বা ডলফিনের মতো প্রাণি ভেদ করতে সক্ষম।
এতোদিন মাঝে মাঝে পানির নিচে তারবিহীন যোগাযোগ সম্ভব হলেও দুটি পদ্ধতির মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হতো না।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের ওসেনিক এন্ড অ্যাটমোসফেয়ার এডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) অ্যাকুস্ট্রিক তরঙ্গের মাধ্যমে উপকূলে তথ্য পাঠায়। কিন্তু অবকাঠামোগত ভিন্নতার কারণে এই তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী সংগৃহীত তথ্যের সঙ্গে দ্রুত আদান- প্রদান করা যায় না।
গবেষক দলের প্রধান টমাসো মেলোডিয়া জানান, তারবিহীন এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা সমুদ্রে থেকে আমাদের স্মার্টফোর বা কম্পিউটারে ‘অভূতপূর্ব’ তথ্য পেতে পারি। আর এই তথ্যে ব্যবহার করে সুনামির মতো ভয়াবহ দুর্যোগ থেকে হাজারো মানুষের জীবন রক্ষা করতে পারি।
দলটি বিস্তারিত আগামী মাসে তাইওয়ানে অনুষ্ঠেয় একটি কনফারেন্সে মাধ্যমে তুলে ধরবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৩
কেএইচ/এসএইচ/এমজেডআর