ঢাকা, শনিবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইউআইএসসি এখন মানুষের দোরগোড়ায়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৩

নীলফামারী: নীলফামারীতে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের (ইউনিয়ন ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিস সেন্টার-ইউআইএসসি) কার্যক্রমের ফলে সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে।

চলতি বছর বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য এ জেলার ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র থেকে ৩৪ হাজার ৮৬ জন অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন।



এর মধ্যে মালয়েশিয়ায় গমনেচ্ছু রয়েছেন ২৮ হাজার ১৩১ জন, হংকং ও সিঙ্গাপুর গমনেচ্ছু রয়েছেন ৫৫৪ জন এবং অন্যান্য দেশে গমনেচ্ছু রয়েছেন ৫৪০১ জন।

জনগণের দোরগোড়ায় এ সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর সারাদেশে একযোগে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ইউএনডিপির প্রশাসক ও নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিস হেলেন ক্লার্ক।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি শাখা (আইসিটি) সূত্র জানায়, জেলার ৬০টি ইউনিয়নে একজন পুরুষ এবং একজন নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রাম এবং জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে (ইউআইএসসি) স্ক্রীনসহ মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ফটোকপিয়ার ও লেমিনেটিং মেশিন, ওয়েব ক্যামেরা, ডিজিটাল ক্যামেরা, দু’টি করে ডেক্সটপ কম্পিউটার, দু’টি করে ল্যাপটপ, স্ক্যানার, আইপিএস, ইউপিএস, লেজার প্রিন্টার ও ফটো প্রিন্টার রয়েছে।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার জেতী প্রু জানান, জেলার ৬০টি তথ্য কেন্দ্র থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত তিন হাজার ৫৪৭ জন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।

এছাড়াও উদ্যোক্তারা দক্ষ কারিগর হিসেবে তৈরি হওয়ার পাশাপাশি হয়েছেন স্বাবলম্বী।

তিনি জানান, ইউআইএসসি থেকে নাগরিকদের ফরম ডাউনলোড ও পূরণসহ সরকারি ১২ এবং বাণিজ্যিক ১১ প্রকারের সেবা দেওয়া হচ্ছে। ভোগান্তি দূর করতে ইউআইএসসিতে জমির পর্চা নকলের আবেদন করা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন ওয়েব পোর্টাল থেকে তথ্য জানতে পারছেন সাধারণ মানুষ।

এছাড়াও সরকারি যে কোনো বার্তা বা বিভিন্ন দিবসগুলোর প্রামাণ্যচিত্র ইউআইএসসি থেকে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে জনগণকে অবহিত করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, টেকসই ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্য উপজেলা পর্যায়ে ২০১১ সালে ডিমলা উপজেলার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
 
এছাড়াও ২০১২ সালে ইউআইএসসি এবং ই-সার্ভিসে অবদান রাখার জন্য জেলা পর্যায়ে প্রাক্তন জেলা প্রশাসক আব্দুল মজিদ ও বর্ষসেরা উদ্যোক্তা হিসেবে কিশোরগঞ্জ উপজেলা মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের আজাদুল করিম জাতীয়ভাবে পুরস্কার লাভ করেন।
 
জেলা আইসিটি সমন্বয়কারী ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএএম রফিকুন্নবী জানান, ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ইউআইএসসি কার্যক্রমের ফলে জেলা প্রশাসন তথা সরকারি সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। জেলা ই-সেবা কার্যক্রমের সঙ্গে জেলার সব ইউআইএসসিকে সম্পৃক্ত করার ফলে মানুষের খরচ ও ভোগান্তি অনেক গুণ কমে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৩
আরএএস/বিএসকে- [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।