বিশ্বজুড়ে লোকচক্ষুর আড়ালেই চলছে পাইরেসির রমরমা ব্যবসা। এ মুহূর্তে প্রতি বছর ৫ হাজার ৩০০ কোটি অনলাইন ভিজিটর এসব পাইরেসি সাইটে তাদের প্রয়োজনীতা খুঁজে বেড়ান।
এখন বিশ্বের বহুল জনপ্রিয় ৪৩টি অবৈধ ফাইল বিনিময়যোগ্য পাইরেসি সাইট সবার আড়ালেই করে চলেছে কোটি কোটি ডলারের অবৈধ বাণিজ্য। আর এ সাইটগুলোর অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যাও মোটেও উপেক্ষা করার মতো নয়।
অবৈধভাবে পরিচালিত এসব সাইটের মধ্যে শীর্ষ তিন এ আছে র্যাপিডশেয়ার ডটকম, মেগাভিডিও ডটকম এবং মেগাআপলোড ডটকম। উল্লেখ্য, এ তিনটি সাইটের ভিজিটর সংখ্যা ২ হাজার ১০০ কোটিরও বেশি।
উল্লেখ্য, সাইটগুলোর জনপ্রিয়তার নেপথ্যে আছে (পিয়ার টু পিয়ার) অবাধ পদ্ধতি। অর্থাৎ এ পদ্ধতির মাধ্যমে অনায়াসেই একে অন্যের সঙ্গে অবৈধ তথ্য-উপাত্ত বিনিময় করতে পারেন।
সূত্র মতে, এ তথ্য অনুসন্ধানে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানকে উপাত্ত হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। আর বেড়িয়ে আসা তথ্য এটাই বলছে এর পেছনে অনেক বড় একটি সক্রিয় চক্র জড়িত আছে।
মার্কমনিটরের সহসভাপতি চার্লি আব্রাহাম জানান, এ সংখ্যা বিভ্রান্তিকর। সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের চেম্বার অব কমার্সের অনুরোধে পাইরেসি সাইটগুলোর এ মুহূর্তের কর্মকান্ড পর্যবেণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ফরেস্টার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক মার্ক মুলিগান জানান, সাইটগুলোর অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা অনুপাতে ডাউনলোডের সংখ্যা বিবেচনাযোগ্য হতে পারেনা।
তবে তাৎক্ষণিক বার্তা বিনিময় এবং ব্লগিং সাইটগুলোর জনপ্রিয়তার পেছনে (পিয়ার টু পিয়ার) অবৈধ কৌশলে পাইরেসিযোগ্য ভিডিওচিত্র এবং মিউজিক বিনিময়ই যে কারণ এটা প্রমাণযোগ্য।
মার্কের ভাষ্যমতে, আপলোডযোগ্য এ সাইটগুলোতে ধারাবাহিকভাবে ফাইল তালিকাভুক্তির সুবিধা থাকে বলে প্রবেশকারীরা সহজেই অবৈধ ফাইল বিনিময়ের সুযোগ পান।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১১