এবারে বছরের শুরু থেকেই ফেসবুকের বিনিয়োগকারীদের অর্থমূল্য নিয়ে চলছে টালমাটাল অবস্থা। বিনিয়োগকারীরা যে পরিমাণ বিনিয়োগের কথা বলছে, ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা জুকারবার্গ এর পুরোটাই অস্বীকার করছেন।
এ বিষয় নিয়ে প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গকে এরই মধ্যে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেও হয়েছে। এ মুহূর্তে ফেসবুক বলছে, পুরো মূলধনের ১৫০ কোটি টাকা শুধু বিনিয়োগকারীদের।
সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে গোল্ডম্যান এবং ডিজিটাল স্কাই প্রযুক্তির বিনিয়োগের খবর ফলাও করে প্রকাশ করা হয়। সূত্র মতে, এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক সাইটের অর্থমূল্য ৫ হাজার কোটি ডলার।
এর মধ্যে গোল্ডম্যান ছাড়াও বহিরাগত গ্রাহকদের কাছ থেকে আসা বিনিয়োগমূল্য ১০০ কোটি ডলার। আর গোল্ডম্যানের নিজস্ব এবং রাশিয়ার ডিজিটাল স্কাই টেকনোলজিস থেকে এসেছে ৫০ কোটি ডলার।
জুকারবার্গের ভাষ্যমতে, এ মুহূর্তে ফেসবুকের এ অবস্থায় পৌঁছানোয় বিনিয়োগকারীদের এটাই সহায়তা। উল্লেখ্য, ওয়াল স্ট্রিট ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এসব শেয়ার বিপণনে প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছে।
সূত্র মতে, অর্থসংগ্রহে মাধ্যমে হিসেবে ফেসবুক শেয়ার বিপণন করেছে। ফেসবুকের প্রধান অর্থবিষয়ক কর্মকর্তা ডেভিড ইবারসম্যান বলেন, ব্যবসায়িক উন্নয়নে ফেসবুক ভালো করছে। আর নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে এ অবস্থার আরও উন্নতি হবে বলে তিনি মনে করেন।
এ বড় মাপের বিনিয়োগের ফলে ফেসবুক নতুন নতুন প্রযুক্তিকেন্দ্রিক উদ্ভাবনাশৈলীতে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবে।
সূত্র জানিয়েছে, আর্থিক কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই এ অগ্রগতি। তবে এ মুহূর্তের সম্প্রসারিত কার্যক্রম এবং দৃঢ় অবস্থান তৈরিতে বিনিয়োগে ধারা অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, আগামী বছরের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে জনগণের আর্থিক বিনিয়োগের নথিপত্র প্রকাশে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্কস টাইম প্রতিবেদনে প্রকাশ, এ মাসেও ডিজিটাল স্কাই টেকনোলজিস এবং গ্লোডম্যান নতুনভাবে বিনিয়োগ করেছে।
বিখ্যাত দুটি অনলাইন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইবে ও টাইম ওয়ার্নারের চেয়েও ফেসবুকের বাজার অবস্থান সুদৃঢ় বলে সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেছেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭৫৫, জানুয়ারি ২৪, ২০১১