ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

এশিয়াতে ইন্টারনেটে যুক্ত হবে ৫০ কোটি কিশোর-কিশোরী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৪
এশিয়াতে ইন্টারনেটে যুক্ত হবে ৫০ কোটি কিশোর-কিশোরী

ঢাকা: (ঢাকা ১৭ ফেব্রুয়ারি) টেলিনর গ্রুপের পূর্বাভাষ অনুযায়ী বাংলাদেশসহ গ্রুপের উদীয়মান এশিয়ান বাজারগুলোর ৫০ কোটি কিশোর কিশোরীর মধ্যে একটি বিরাট অংশ আগামী এক দশকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করবে।

টেলিনর আশা করছে, যেসব দেশে তার ব্যবসা আছে সেখানে আগামী তিন বছরের মধ্যেই সাড়ে আট কোটি শিশু মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সঙ্গে পরিচিত হবে।



টেলিনর তার বিশাল এশিয়ান বাজারে অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তাকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে। এশিয়ান বাজারে আনুমানিক ৫০ কোটি শিশু বাস করে। এর মধ্যে বাংলাদেশেই আছে প্রায় ৫ কোটি, এদের অনেকেই আগামী কয়েক বছরে ইন্টারনেটের সঙ্গে পরিচিত হবে।

টেলিনর এশিয়ার প্রধান এবং গ্রামীণফোনের চেয়ারম্যান সিগভে ব্রেক্কে বলেন, প্রায় দুই দশক আগে এই বাংলাদেশ থেকেই এশিয়াতে টেলিনরের যাত্রা শুরু হয়েছিল- মোবাইল ফোন সবার জন্য এই বিশ্বাসকে পুঁজি করে। এখন বাজার এগিয়ে যাচ্ছে মোবাইল ইন্টারনেটের দিকে আর আমরা সবার কাছে ইন্টারনেট নিয়ে যেতে সংকল্প করেছি। মোবাইল এবং ডাটা সংযোগ মানুষ, ব্যবসা এবং সমাজ সবার জন্য বিশাল সুযোগ নিয়ে আসে, বিশেষ করে তরুণদের জন্য যারা যোগাযোগ করতে, নতুন কিছু শিখতে এবং সেবা পেতে পারে যা কয়েক বছর আগে কল্পনাতীত ছিল।

তিনি বলেন, ইন্টারনেট যে সুযোগ সৃষ্টি করে তার সঙ্গে কিছু ঝুঁকি সামনে চলে আসে। শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারে প্রবণতা নিয়ে করা বোস্টন কন্সালটিং গ্রুপের গবেষণা থেকে জানা যায় যে, তাদের মধ্যে হয়েতা শতকরা ৮ জন নিজের অজান্তেই বাণিজ্যিক সেবা গ্রহণ করে, প্রতি ১০ জনের ১ জন ব্যক্তিগত তথ্য অপব্যবহারের শিকার হতে পারেন। প্রতি ৫ জনে ১ জন ক্ষতিকর কন্টেন্ট দেখেছেন এবং কম বয়স্ক ব্যবহারকারীদের অর্ধেকই অনলাইনে হুমকি শিকার হতে পারেন।

টেলিনরের ডিরেক্টর কর্পোরেট রেসপনসিবিলিটি ওলা জো তান্দ্রে বলেন, এশিয়াকে ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত করার সময় তা নিরাপদভাবে এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে করতে হবে। বিশেষ করে প্রথম ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং শিশুদের জন্য।

নরওয়ে, মালয়েশিয়া, সার্বিয়া, সুইডেন এবং মন্টিনেগ্রো তে পরিচালিত সফল কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রুপে এরমধ্যেই শিশুদের ইন্টারনেট বিষয়ক শিক্ষা প্রদানে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এসব দেশে কাজ করে অর্জিত অভিজ্ঞতা অন্যান্য দেশ বিশেষ করে এশিয়ায় কাজে লাগাতে চায় টেলিনর গ্রুপ।

টেলিনর গ্রুপই বিশ্বের প্রথম অপারেটর যে ইন্টারপুলের সঙ্গে শিশু যৌন নির্যাতন বিষয়ক কনটেন্ট প্রতিরোধে একটি মোবাইল ইন্টারনেট ফিল্টার তৈরি করেছে। গ্রুপ এই ফিল্টার তার একটি বাদে সকল ইউরোপীয় কোম্পানি এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্থাপন করেছে। এশিয়ার বাকি কোম্পানিগুলো বর্তমানে এটি বাস্তবায়নে কাজ করছে।

অতি সম্প্রতি টেলিনর এবং গ্রামীণফোন উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের সহযোগিতায় বাংলাদেশে স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ২১ লাখ ঘণ্টা ইন্টারনেট বিনমূল্যে ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। সারাদেশের ২৫০টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুল প্রাঙ্গণে অবস্থিত ব্র্যাক পরিচালিত গণকেন্দ্রে বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে এবং কিভাবে সবচেয়ে নিরাপদে-দক্ষতার সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয় তা জানতে পারবে।

তান্দ্রে বলেন, এই ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে শিশু কিশোরদের জন্য ব্যাপকভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ হলে তাদের কিভাবে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে যার ফলে ঝুঁকি হ্রাস পাবে এবং জানার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে তা শেখানো জরুরি হয়ে পড়ে।

সিগভে ব্রেক্কে বলেন, আমরা এশিয়ায় সবার কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ডাটা সেবা চাহিদার ইতিবাচক বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে আইসিটি শিল্প এবং সংশ্লিষ্ট রেগুলেটরি সংস্থাগুলো, গ্রাহকদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করছেন। সুলভ এবং নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগসহ প্রতিটি নতুন গ্রাহক অর্থই হচ্ছে সবার জন্য ইন্টারনেট অর্জনে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।  

বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।