ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

এবার পুরো বিশ্বই ফ্রি ওয়াই-ফাই জোন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৪
এবার পুরো বিশ্বই ফ্রি ওয়াই-ফাই জোন!

ঢাকা: ভাবুন তো, আপনি হারিয়ে গেছেন সাহারা মরুভূমিতে। অথবা জাহাজডুবির শিকার হয়ে ডিঙ্গি নৌকায় ভাসছেন ভারত মহাসাগরে।

চারপাশের শত মাইলে নেই কোনো লোক বসতি। অথচ অপেক্ষায় আছেন সাহায্যের। কিভাবে সম্ভব ?

হ্যাঁ সম্ভব, কারণ আর কিছু দিন পর আপনি চাইলেই হাতের সাধারণ মুঠোফোনের সাহায্যে ইন্টারনেটে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে যোগাযোগ করতে পারবেন, তাও একদমই ফ্রি। এক্ষেত্রে বিবেচনায় আসবে না পৃথিবীর কোন প্রান্তে আপনি অবস্থান করছেন।

আর এ ব্যবস্থা করবে আউটারনেট নেটওয়ার্ক। মহাবিশ্ব থেকে ইন্টারনেট আপনার কাছে পৌঁছে যাবে, জলে স্থলে অন্তরীক্ষে, যেখানেই থাকুন না কেন।

মানুষের থেকে পৃথিবীতে এখন ইলেক্ট্রনিক গেজেটের (গেজেট) সংখ্যা বেশি। কিন্তু বিশ্বের ৪০ শতাংশ মানুষের কাছে এখনও পৌঁছায়নি ইন্টারনেট। সবার প্রচেষ্টাই এখন কিভাবে ইন্টারনেটকে করা যায় সহজসাধ্য।

তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে নিউইয়র্কভিত্তিক অলাভজনক সংগঠন মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের(এমডিআইএফ) আউটারনেটের পরিকল্পনা।

তাদের আউটারনেট ইন্টারনেটকে পৌঁছে দেবে বিশ্বের আনাচে কানাচে এবং অবশ্যই একদম বিনামূল্যে।

কিউব স্যাটেলাইট প্রযুক্তির সহায়তায় মহাকাশ থেকে সারা বিশ্বে তারা এমন একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে যাচ্ছেন যেখানে থাকবে সবার প্রবেশাধিকার। এমনকি থাকবে না কোনো অবাঞ্জিত সেন্সরশিপ বা কর্তৃপক্ষের রক্তচক্ষু।



আউটারনেট পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মহাবিশ্বে পৃথিবীর চারপাশ ঘিরে থাকবে শত শত কিউব স্যাটেলাইট। যা হবে অনেকটা নক্ষত্রপুঞ্জের মত। এসব স্যাটেলাইট ডাটা পাঠানো হবে ভূপষ্ঠে অবস্থিত বিভিন্ন কেন্দ্রে, যেখান থেকে তা ছড়িয়ে পড়বে পুরো বিশ্বে, ফলে পৃথিবীর প্রায় প্রতি ইঞ্চি ভূমি থাকবে এই নেটওয়ার্কের অধীনে।

আর আউটারনেটে সংযুক্ত থাকা যাবে যে কোনো সাধারণ কম্পিউটার অথবা মোবাইল ফোনের সাহায্যে।

পরিকল্পনা চূড়ান্তই, এখন শুধু অপেক্ষা বাস্তবায়নের। প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান হলেই প্রকল্পের কাজ শুরু করবে এমনটাই জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
 
তবে এ ধরনের মহাযজ্ঞে খরচও কম হবে না। এক একটা কিউব স্যাটেলাইট নির্মাণ ও মহাশূণ্যে স্থাপনে খরচ হবে ১ লাখ ডলার থেকে ৩ লাখ ডলার করে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন শত শত কিউব স্যাটেলাইট। তবে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করে আগামী গ্রীষ্মেই কাজ শুরুর ব্যাপারে আশাবাদী উদ্যোক্তারা।

আর এই ফ্রি ইন্টারনেটের জন্য এখন সাগ্রহ অপেক্ষায় পুরো বিশ্ব ! আপনি নন কী ?

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।