ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যম হবে ‘ইন্টারনেট’!

ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৪
দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যম হবে ‘ইন্টারনেট’!

বার্সেলোনা, স্পেন থেকে: বার্সেলোনায় ‘ওয়ার্ল্ড মোবাইল কংগ্রেস’-এ গত তিনদিন ধরে মোবাইলের ভয়েস কলের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। ফেসবুকের পর তাদের সদ্য কেনা আরেকটি প্রতিষ্ঠান হোয়াটসঅ্যাপের দাপটে এই শঙ্কা আরো ঘনীভূত হয়েছে।

 

মোবাইল ফোন থেকে বিনামূল্যে তাৎক্ষণিকভাবে মেসেজ আদান-প্রদানের জনপ্রিয় সেবাপ্রতিষ্ঠান হোয়াটসঅ্যাপ।

মোবাইল কংগ্রেসে অংশ নেওয়া বড় বড় মোবাইল অপারেটর প্রধানরা এ বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। একই সঙ্গে মোবাইল খাতের ব্যবসাটি হয়ে উঠবে ডাটা নির্ভর। ডাটা নির্ভর এই ব্যবসার প্রধান মাধ্যম হবে ইন্টারনেট।

এদিকে, মোবাইল কংগ্রেসের আয়োজক সংস্থা গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) চেয়ারম্যান ও টেলিনর গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জন ফ্রেডরিক বাকসাসও হোয়াটসঅ্যাপের বিনামূল্যের ভয়েস কলকে হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।  

টেলিটু মোবাইল অপারেটরের সিইও ম্যাটস গ্রানরিড ফেসবুক স্পষ্ট করেই উল্লেখ করে বলেছেন, মোবাইল অপারেটরেরা তাদের ব্যবসার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে কাজ করছে। আর তাই আমরা মোবাইল ভয়েস এবং টেক্সট ফ্রি করে দেবো। আমরা পুরোপুরি ডাটা সার্ভিসের ওপরেই নির্ভরশীল হওয়ার চেষ্টা করছি। সেভাবেই নিজেদের তৈরি করছি। ’

মোবাইল অপারেটর মিলিকমের সিইও হ্যান্স বলেন,  ‘আমরা ফেসবুক কিংবা হোয়াটসঅ্যাপকে থামাতে পারবো না। আমরা এ বিষয়ে খোলাখুলি অবস্থান নিতে পারি। কারণ, ভয়েস থেকে ডাটা সার্ভিসে গেলেই বরং প্রবৃদ্ধি অনেক বাড়বে। ’  

যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিশ্বখ্যাত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডিলয়েট-এর হিসাব অনুযায়ী, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ইন্টারনেটের প্রবৃদ্ধি যেভাবে ঘটছে, তাতে এই খাত ওইসব দেশ থেকে অতিরিক্ত আরো ২.২ ট্রিলিয়ন জিডিপি আয় করতে সক্ষম হবে। এর মাধ্যমে ওই সব দেশে ১৬ কোটি মানুষের দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব হবে।

ফেসবুক এবং ইন্টারনেটডটওআরজি-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ইলিয়ট সাজ মোবাইল কংগ্রেসে ইন্টারনেট সম্পর্কে তার মতামত দেন এভাবে, ‘ইন্টারনেটের জন্য বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। বরং উন্নত মানসম্পন্ন স্প্রেকট্রাম (তরঙ্গ) সুবিধা প্রদান, প্রণোদনা এবং ইন্টারনেটের দামের বাধা দূর করতে সরকারের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করা এবং সর্বোপরি স্থানীয় উন্নয়নের সঙ্গে মানানসই নীতি প্রণয়নে কাজ করতে পারলেই ইন্টারনেট ব্যবসা এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

ডিলয়েটের তথ্য অনুযায়ী, ইন্টারনেটের আরো উন্নতি বর্ধনে সরকার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে প্রণোদনা দেওয়া উচিত। অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে ইন্টারনেটের সরাসরি অবদান ৩.৬ শতাংশ। টাকার অংকে তা ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ইন্টারনেটকেন্দ্রিক ব্যবসায় যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ বিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে; যা সে দেশের মোট জিডিপির ২ শতাংশ। ‘ইন্টারনেট-অর্থনীতি’র মাধ্যমে ১২ লাখ মানুষের চাকরি হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।