ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ভারতের চেয়ে থ্রিজি ট্যারিফ বেশি হলেও প্রতিযোগিতামূলক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৪
ভারতের চেয়ে থ্রিজি ট্যারিফ বেশি হলেও প্রতিযোগিতামূলক

সংসদ অধিবেশন কক্ষ থেকে: পাশের দেশ ভারতের চাইতে বাংলাদেশে থ্রিজি ট্যারিফ বেশি। তবে তা প্রতিযোগিতামূলক।

  থ্রিজি গ্রাহকসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে থ্রিজি সেবার দাম স্বাভাবিকভাবে কমে আসবে বলে সংসদে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
 
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম মাইদুল ইসলামের লিখিত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি, গ্রামীণফোন লিমিটেডকে থ্রিজি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশব্যাপী তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তার করছে। দেশব্যাপী এই নেটওয়ার্ক বিস্তার সম্পন্ন হলে এবং গ্রাহকসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে থ্রিজি সেবার দাম স্বাভাবিকভাবে কমে আসবে।

এছাড়া থ্রিজি সার্ভিসের বিস্তৃতির সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে তার মূল্য কত হওয়া উচিত বা অতি উচ্চমূল্য কিনা, তা নির্ধারণ করার জন্য কস্ট মডেলিং পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।
 
একই প্রশ্নকর্তার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা চার কোটি ৭১ লাখ নয় হাজার ছয়শ ৪০। গ্রামীণফোনের গড় কলরেট ৭০ পয়সা। অন্যান্য টেলিফোন কোম্পানির এ কলরেট হচ্ছে- সিটিসেল ৭৮ পয়সা, এয়ারটেল ৭১ পয়সা, টেলিটক ৬৮ পয়সা, রবি ৭৭ পয়সা এবং বাংলালিংক ৭৮ পয়সা।
 
এম আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, অবৈধ ভিওআইপি বন্ধের লক্ষ্যে বিভিন্ন কারিগরি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে সব আইজিডব্লিউ এবং আইসিএক্স অপরেটরকে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।

এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে সব অপারেটরদের মনিটরিংয়ের  আওতায় আনার লক্ষ্যে বিটিআরসিতে একটি মনিটরিং সিস্টেম স্থাপনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
 
একই প্রশ্নকর্তার অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, দেশের উপজেলাগুলোতে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে ১২১টি উপজেলায় বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার কেবলের আওতায় রয়েছে।

এ ছাড়া টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫৮টি উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আরো ২৯০টি উপজেলায় এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
 
শেখ নরুল হকের এক প্রশ্নের উত্তরে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, নতুন ডাকঘর খোলা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। তাই, সরকারের গত মেয়াদে নতুন কোনো ডাকঘর খোলা সম্ভব হয়নি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।