ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

রেকর্ড সময়ে ৩জি ৬৪ জেলায়

আরো সাশ্রয়ী প্যাকেজ দেবে গ্রামীণফোন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৪
আরো সাশ্রয়ী প্যাকেজ দেবে গ্রামীণফোন ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ‘সবার জন্য ইন্টারনেট’ এই স্লোগান নিয়ে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করেছে দেশের বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন।

স্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিতে ইন্টারনেট সেবায় আরো সাশ্রয়ী প্যাকেজ দেওয়ার চিন্তা করছে গ্রামীণফোন।

 

রোববার ওয়েস্টিন হোটেলে রেকর্ড সময়ে দেশের ৬৪ জেলায় থ্রিজি সেবা পৌঁছানোর মাইলফলক স্পর্শ করা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই পরিকল্পনার কথা জানান গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিবেক সুদ।

২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্যিকভাবে থ্রিজি চালু করে। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সাতটি বিভাগীয় শহরসহ বেশকিছু জনবহুল শহর থ্রিজির আওতায় নিয়ে আসে গ্রামীণফোন। যদিও লাইসেন্সের শর্তে বলা হয়েছিল, নয় মাসের মধ্যে বিভাগীয় শহরগুলোতে থ্রিজি চালু করতে হবে। কিন্তু, তা মাত্র তিন মাসেই করা হয়। আর ছয় মাসের মধ্যেই সব জেলা শহরে থ্রিজি চালু হয়েছে।

বিবেক সুদ বলেন, দেশের ৬৪ জেলা এখন গ্রামীণফোনের থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায়। গেল বছরের ৮ সেপ্টেম্বর থ্রিজি তরঙ্গ নিলামের পরদিনই আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আজ তা রাখতে পেরে আমরা আনন্দিত। গত কয়েক মাসে আমরা দেখেছি গ্রাহকরা এখন শুধু আর শুধু ভয়েস কল নিয়েই ব্যস্ত নয়; তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন ব্যাপকভাবে। বিষয়টি মাথায় রেখে সাশ্রয়ী ইন্টারনেট প্যাকেজের কথা চিন্তা করছি।  

তিনি বলেন, টেলিনর গ্রুপের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে দ্রুতগতির ৩জি রোল-আউট এবং এটা আমাদের ‘সবার জন্য ইন্টারনেট’ লক্ষ্য অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এখন পর্যন্ত অর্জিত অগ্রগতিতে গর্বিত। কিন্তু, আরো বেশি মানুষকে ৩জি ব্যবহারের সুযোগ দিতে নেটওয়ার্কের আওতা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

গ্রামীণফোন ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে এক প্রতিযোগিতামূলক নিলামের মাধ্যমে ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ১০ মেগাহার্জ তরঙ্গসহ থ্রিজি লাইসেন্স পায়।

গ্রামীণফোনের চিফ টেকনোলজি অফিসার তানভীর মোহাম্মদ বলেন, গ্রামীণফোন এখন দেশের বৃহত্তম ব্রডব্যান্ড সেবা প্রদানকারী। আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে প্রায় ৪০ ভাগ এখন থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায় আছেন এবং বিদ্যমান থ্রিজি সক্ষম ডিভাইসের ৮৫ ভাগ থ্রিজি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারে।

তিনি বলেন, গ্রামীণফোনের লক্ষ্য হচ্ছে, সবার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করা। ৩জির মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক বাংলাদেশি উচ্চগতির ইন্টারনেটের সুবিধাদি উপভোগ করতে পারবেন।

থ্রিজি বাস্তব অবস্থার অভিজ্ঞতা দিতে বিবেক সুদ ও তানভীর মোহাম্মদ চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেটে অপারেটরের রিজিওনাল প্রধানদের সঙ্গে ভিডিওকলের মাধ্যমে কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মাহমুদ হোসেন ও হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন তাহমিদ আজিজুল হক উপস্থিত ছিলেন।   
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৪  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।