ঢাকা, বুধবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

১৫ মিলিয়ন ডলারের কাঁচামাল আমদানির প্রস্তাব বিটিটিএলএমইএয়ের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৪
১৫ মিলিয়ন ডলারের কাঁচামাল আমদানির প্রস্তাব বিটিটিএলএমইএয়ের ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: স্পেশালাইজড টেক্সাটাইলের জন্য ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ডাইস, কেমিক্যাল আমদানির সুযোগ চেয়েছে বাংলাদেশ টেরি টাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশেন (বিটিটিএলএমইএ)।

বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় সংগঠনের পক্ষ থেকে এ সুযোগ চাওয়া হয়েছে।



সংগঠনের সভাপতি খন্দকার আবদুল মোক্তাদির বলেন, এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (ইডিএফ) মাধ্যমে বিটিএমই ১২ মিলিয়ন, বিএফজিএমইএ ৫ মিলিয়ন, বিজিএপিএমইএ সদস্যরা ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাঁচামাল আমদানি করতে পারে।

এর মধ্যে ইডিএফ-এর মাধ্যমে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ডাইস, কেমিক্যাল আমদানির সুযোগ দেয়ার দাবি করেন তিনি।

 প্রাক-বাজেট আলোচনায় বিশ্ব বাজারে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণের জন্য আগামী ৫ বছরের জন্য ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা বা প্রণোদনার প্রস্তাব দেন আবদুল মোক্তাদির।
 
একই সঙ্গে নতুন পণ্য নতুন বাজার সৃষ্টিতে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডাসহ অন্যান্য দেশে পণ্য রপ্তানিতে ১০ ও ১৫ শতাংশ নগদ সহায়তা দেয়ার দাবি করেন তিনি।

নগদ সহায়তাকে আয়কর মুক্ত রাখার প্রস্তাব করে তিনি বলেন, নগদ সহায়তা, প্রণোদনার ওপর ৫ শতাংশ আয়কর কর্তন করা হয়। পরে আয়কর অ্যাসেসমেন্ট (নিরুপণ) করার সময় ৫ শতাংশ কর্তন করা হয়।

ওই অর্থকে আয়কর হিসেবে গণ্য করে তার ওপর ৩৭.৫ শতাংশ কর ধার্য করা হয়। তাই নগদ সহায়তা, প্রণোদনার অর্থকে আয়কর মুক্ত রাখতে বলেন তিনি।

লোকাল ঋণপত্রে (এলসি) উৎস কর অব্যাহতির দাবি করে মোক্তাদির বলেন, লোকাল এলসির মাধ্যমে যেসব কেমিক্যাল ক্রয় করা হয় তাতে ২-৫ শতাংশ উৎস কর কর্তন করা হয়। তাই লেনদেনের ওপর উৎস কর অব্যাহতির প্রস্তাব জানান তিনি।

কর মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রপ্তানি ট্রপি বন্ধ না রাখার দাবি করে মোক্তাদির বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে যতক্ষণ পর্যন্ত কর মামলা নিষ্পত্তি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিকে কর খেলাপি ঘোষণা না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানি ট্রপি থেকে বঞ্চিত না করার দাবি করেন তিনি।

রপ্তানিমুখী হোম, টেরি টাওয়েল, স্পেশালাইজড টেক্সাটাইলের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার, প্রতিষ্ঠানের হিসাব বিবরণী মোতাবেক গ্রোস আয় নির্ধারণ, কটন ওয়েস্ট আমদানি শুল্ক শূন্য ও রপ্তানি শুল্ক ২৫ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব দেন তিনি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক নীতি) মো. ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সদস্য, প্রথম সচিব, বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।