বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর শঙ্কা ছড়িয়ে আইটি বিশেষজ্ঞদের দারুণ চাপের মধ্যে রেখে, পাসওয়ার্ড পাল্টানোর হিড়িক ফেলে দিয়ে হার্টব্লিড এখনো কোনো বড় ধরনের আঘাত হানতে পারেনি। তবে ছোট্ট হলেও প্রথম আঘাতটির খবর এসেছে কানাডা থেকে।
এ সপ্তাহের গোড়ার দিকেই ধরা পড়ে কানাডিয়ান রেভিন্যু এজেন্সি (সিআরএ)’র ওয়েবসাইট হ্যাকড হয়েছে। ছয় ঘণ্টা সময় হ্যাকড থাকে সাইটটি এর মধ্যে ৯০০ সোস্যাল ইন্সুরেন্স নাম্বার এবং করদাতাদের আরও কিছু তথ্য উধাও হয়ে যায়। হ্যাকার এই কাজে হার্টব্লিড ব্যবহার করে।
ঘটনার পর দিন-রাত কাজ করে সিআরএ। সকল সিস্টেম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং নতুন করে অনলাইন সার্ভিস চালু করে নেয়।
এক বিবৃতিতে সিআরএ কমিশনার এন্ড্রু ট্রুস্ক বলেছেন, ব্যাপক নিয়ন্ত্রণের পরেও সিআরএ হার্টব্লিডের আঘাতে প্রর্যুদস্ত হয়েছে।
অন্টারিওর লন্ডন এলাকা থেকে স্টেফেন সোলিস-রিয়েস নামে ১৯ বছরের এক তরুণকে বুধবার আটক করেছে পুলিশ। হার্টব্লিড অ্যাটাকের এই ঘটনায় তিনিই দায়ী, তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের হচ্ছে, জানিয়েছে পুলিশ।
হার্টব্লিড নামের একটি নতুন কম্পিউটার বাগ গেলো সপ্তাহে ইন্টারনেট জগতে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। বলা হচ্ছে এর কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে কম্পিউটারের বিভিন্ন সফটওয়্যার। হার্টব্লিড ইন্টারনেটে ব্যবহারকারীর নাম, পাসওয়ার্ড এবং ক্রেডিট-কার্ড ইনফরমেশন ধ্বংস করতে পারে। গুগল, ফেসবুক, ইয়াহুসহ কমবেশি ৫ লাখ প্রতিষ্ঠান এই ঝুঁকিতে রয়েছে বলেও আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
সিআরএ’র ড্যাটাবেজে হার্টব্লিডের এই হামলা প্রথম হলেও তারা মনে করছেন এটি নিশ্চয়ই শেষ নয়।
বুধবারই হ্যাকার সোলিস-রিয়েসকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছে কানাডীয় পুলিশ।
বাংলাদেশ সময় ১৮৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৪