তথ্যপ্রযুক্তি খাতে একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন ‘সরকারি ও বেসরকারি স্টেকহোল্ডারদের’ খাতটিতে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছে। পর্যায়ক্রমে আলোচনার মাধ্যমে আইসিটি খাতের এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘উচ্চ পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি স্টেকহোল্ডার, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে’ নীতিমালা সংলাপের আয়োজন করে বেসিস এবং এশিয়া ফাউন্ডেশেন।
মন্ত্রী তার বক্তব্যে, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানান। সেইসাথে বিটিসিএল’কে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলে পরিচালনা করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
সংলাপে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপক এম রোকনুজ্জামান, বেসিস সহ-সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির ও লার্নিং এশিয়ার আবু সাইয়িদ খান। ঢাকার তুলনায় দেশের অন্যান্য যায়গায় ইন্টারনেট-সংযোগ ও ব্যবহার খরচ বেশি। এ বৈষম্য দূর করা সহ টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ভাগাভাগির যে সুবিধা ছিল তা পুনরায় চালুর কথা বলা হয় মূল প্রবন্ধে।
ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য জামিলুর রেজা চৌধুরী সংলাপ সঞ্চালানা করেন। দীর্ঘদিন আগে প্রণীত আইসিটি নীতিমালা পুনরায় মূল্যায়ন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে নীতিমালা পুনর্বিন্যাসের আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস জানান, ঢাকা ও ঢাকার বাহিরে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের দাম একই। তবে ইন্টারনেট সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালন খরচের কথা বলে ইন্টারনেটের খরচ বাড়িয়ে থাকে।
বেসিস সভাপতি শামীম আহসানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক আশফাক হুসেন, এশিয়া ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হাসান মজুমদার, বেসিস এবং বিভিন্ন মোবাইল টেলিকম ব্যবসায়ী সংস্থার উর্ধ্বতনরা।
এ সংলাপের মাধ্যমে দেশব্যাপী দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিতে সাধারন মানুষের ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৪