ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে “জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি” প্রকল্পের আওতায় ৬৪ জেলার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে পঞ্চগড়ে অনুষ্ঠিত হয় ৫ দিনের প্রশিক্ষণ।
প্রতিযোগিতা মূলক এ পরীক্ষার মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৩১ জন প্রশিক্ষনার্থীকে নির্বাচিত করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে ২৮ জনকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক সনদপত্র দেওয়া হয়।
৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে জাভা প্রোগ্রামিং ব্যবহারে কিভাবে বিভিন্ন ধরণের মোবাইল অ্যাপস তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হয়। ব্যবহারিক ক্লাসে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনও তৈরি করে শিক্ষার্থীরা।
বলরামপুর আদরদিয়া কলেজের শিক্ষার্থী এ.জি.এম.রুবেল হাসানের “ফসলের রোগ বালাই ও প্রতিকার” অ্যাপটি সেরা হিসেবে নির্বাচিত হয়ভ সিম্ফনীর পক্ষ থেকে তাকে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন পুরস্কার দেওয়া হয়। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ সহ বাংলা ভাষাভাষী সকল কৃষককে সহয়তা করাই অ্যাপটির মূল উদ্দেশ্য । “ফসলের রোগ বালাই ও প্রতিকার” অ্যাপটি বিভিন্ন জাতের ফসলের রোগ বালাই চিহ্নিতকরণ ও প্রতিকারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম। আয়োজকদের মতে, এ উদ্যোগ দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন ও আর্থ–সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
আইসিটি মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্পে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আছে ইএটিএল ও এমসিসি। এছাড়াও রয়েছে বেসিস, মাইক্রোসফট, গ্রামীণফোন, রবি, নোকিয়া, সিম্ফনি, এসওএল কোয়েস্ট ও গুগল ডেভেলপার গ্রুপ ঢাকা।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৪