ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৪’ ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি

আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৯ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১৪
‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৪’ ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষা, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের ক্ষমতায়নে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে চার দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৪’।

মেলার ই-কমার্স জোন, ডেভেলপারস ফোরাম ও আউটসোর্সিং ফোরামে নানা উদ্ভাবনীর পসরা নিয়ে বসেছেন তরুণ প্রযুক্তিবিদরা।

ই-গভর্নেন্স, সফট এক্সপো ও মোবাইল ইনোভেশন এক্সপোর সেতুবন্ধনে ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৪’ যেন হয়ে উঠেছে ডিজিটাল বাংলাদেশেরই প্রতিচ্ছবি।

মেলায় নানা ই-সেবা প্রদর্শন করছে এনবিআর, কাস্টমস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর। আর দেশে তৈরি বিভিন্ন সফটওয়্যার প্রদর্শন করছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

মেলায় আগত দর্শকরা এখানে বাংলাদেশি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। মোবাইল ইনোভেশন জোনে উইন্ডোজ, আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্মের হাজারো দেশি অ্যাপ্লিকেশন দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই।

তৃতীয় দিন শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় জমে উঠেছে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৪। ভিড় জমাচ্ছেন ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার টেকপ্রিয় মানুষগুলো। তারা ঘুরে ঘুরে দেখছেন বিভিন্ন স্টল, জেনে নিচ্ছেন অজানা অনেক তথ্য।

এনবিআরের স্টলে দেখা গেলো অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন বিনামূল্যে ই-টিন (টিআইএন) করার জন্য। সেখানে পুরোনো টিন নাম্বারধারীরাও নতুন ই-টিন নাম্বার নিচ্ছেন, কেউবা আবার তথ্যের নাম, ঠিকানা ভুল থাকলে তা ঠিক করিয়ে নিচ্ছেন। জানালেন স্টলে উপস্থিত সহকারী কর কমিশনার আরিফুল হক।  



বাংলাদেশ ব্যাংকের স্টলের সামনেও দেখা গেলো ভিড়। সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সাধারণ মানুষের দেখা সাক্ষাৎ কম-ই হয়ে থাকে। তাই মেলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের পেয়ে অনেকেই জেনে নিচ্ছেন নানা কৌতুহলের উত্তর। ওই স্টলের স্ক্রিনে ভাসছে কীভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিজিএম মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানি-রপ্তানিতে এলসি প্রক্রিয়া এবং এজেন্টশিপ কার্যক্রমটি পুরোপুরি অনলাইনভিত্তিক করেছে। তাই এই প্রক্রিয়ায় গতি এসেছে।

অপরদিকে সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্টলেও ভিড় লেগে থাকতে দেখা গেছে। স্টলগুলোয় বিভিন্ন অ্যাপস, গেমসের রকমফের দেখছেন সকলেই। কেউবা আবার নিজেই একটু খেলে নিচ্ছেন কোনো কোনো গেমস।

মেলায় ঘুরতে আসা ব্যবসায়ী সবুজ বাংলানিউজকে বলেন, উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। এরকম আরও প্রদর্শনীর আয়োজন করলে দেশ ডিজিটালাইজড হওয়ার পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে।

চাকুরীজীবি নারী তাহসীন বললেন, মেলায় অনেক মোবাইল অ্যাপস দেখলাম আর স্টলগুলো অনেক ইনফরমেটিভ।

মেলায় চলছে আউটসোর্সিং নিয়ে সেমিনার এবং কর্মশালাও। এসব আয়োজনে শেখানো হচ্ছে ফায়ারফক্সসহ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এবং অনলাইন মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়। এছাড়া, স্টার্ট আপ এর মাধ্যমে কীভাবে টেক ব্যবসায় পরিচালনা করা যায় তা নিয়েও রয়েছে প্রশিক্ষণের আয়োজন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং সফটওয়ার ব্যবসা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজনে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৪ শুরু হয়েছে ৪ জুন, চলবে ৭ জুন পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।