ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আইসিটিতে আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড পেলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৪
আইসিটিতে আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড পেলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে আন্তর্জাতিক টেলি কমিউনিকেশন অ্যাওয়ার্ড জিতেছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ই-গভর্নমেন্টে তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগের দক্ষতায় এই আন্তর্জাতিক সম্মান অর্জন করেছে।



সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় মঙ্গলবার এই অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পুরস্কার গ্রহণের পর একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রতিমন্ত্রী নিজেই বিষয়টি জানান। এতে দেখা যায় জেনেভায় ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি (ডাব্লিউএসআইএস)-এ পুরস্কার হাতে নিয়ে একটি ছবিতে পোজ দিয়েছেন বর্তমান মন্ত্রিসভার সবচেয়ে তরুণ এই সদস্য।

বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে স্ট্যাটাসটি দেন জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিন দিনব্যাপি এই ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি আয়োজন শেষ হবে আগামী ১৩ জুন।

অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের সময় এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার এবং বাংলাদেশের ইউএনডিপি’র সহকারী পরিচালক কে এম মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

‘ই-সেবায় অনন্য ভূমিকা রাখায় ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি (ডাব্লিউএসআইএস)’ ক্যাটাগরিতে এক্সেস টু ইনফরমেশন(এটুআই) এর ‘সার্ভিস অ্যাট সিটিজেন ডোরস্টেপস’ প্রকল্পকে এই সম্মাননা দেয়া হয়।

এই বিভাগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দেড়’শ প্রকল্পকে মনোনীত হয়েছিল। সেগুলোকে পেছনে ফেলেই অ্যাওয়ার্ড জিতলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটির ভোট পর্ব বাংলাদেশ থেকে এ বছর পাঁচটি প্রকল্প-উদ্যোগ ডব্লিউএসআইএস প্রকল্প পুরস্কারের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে মনোনীত হয়েছিল। এই উদ্যোগ ৫টি জমা দিয়েছিল যথাক্রমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি), শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও গ্রামীণ কমিউনিকেশনস।

মোট ১৮ টি বিভাগের মধ্যে ৬ থেকে ১১ নম্বর বিভাগে প্রাথমিক মনোনয়ন পায় ‘সার্ভিস অ্যাট সিটিজেনস ডোরস্টেপস’, ‘অনলাইন মাইক্রো স্মল ও মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ (এমএসএমই) সাপোর্ট সার্ভিস’, ‘আইসিটি ফর এডুকেশন ইন সেকেন্ডারি অ্যান্ড হায়ার সেকেন্ডারি লেভেল প্রজেক্ট’, ‘ভারচুয়াল ব্লাড ডাটা ব্যাংক’, ‘ই-কৃষক’, ‘ইনকাম জেনারেশন প্রজেক্ট ফর ফারমার্স ইউজিং আইসিটি’। প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পাওয়া প্রকল্পগুলোকে চূড়ান্ত পর্বে নির্বাচিত করতে ইমেইলের মাধ্যমে ভোট নেয়া হয়। ভোট গ্রহণের শেষ সময় ছিল ১৭ এপ্রিল।

প্রসঙ্গত, ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) প্রকল্প পুরস্কার তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উদ্যোগ ও বাস্তবায়নের বড় ধরনের স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনার জন্য ওয়ার্ল্ড সামিট ফর ইনফরমেশন সোসাইটি কাজ করে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী সৃজনশীল উদ্ভাবনগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ডব্লিউএসআইএসির এই প্রতিযোগিতায় সরকারি, বেসরকারি, সাধারণ নাগরিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প জমা দেওয়ার সুযোগ থাকে। ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটির অংশীদাররা এতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান।

বাংলাদেশ সময় ১৬৩৩ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।