ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

শিক্ষা গবেষণায় বরাদ্দ নেই

স্টাফ করেসপন্ডেনন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৪
শিক্ষা গবেষণায় বরাদ্দ নেই ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশের শিক্ষা গবেষণায় বরাদ্দ কোথায়! যেখানে শিক্ষা গবেষণায় কোনো বরাদ্দ নেই সেখানে শিক্ষার মান উন্নয়ন আদৌ কতোটা সম্ভব সে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী।

রোববার বেলা একটায় রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলের বলরুমে বাংলাদেশ ইকোনমিস্ট ফোরামের দু’দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিনে এসব কথা বলেন তিনি।



রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, শিক্ষা গবেষণায় বরাদ্দ না থাকলে শিক্ষার হার বাড়ানো কঠিন হবে। মেয়েদের বাল্যবিবাহের হার বাড়ছে। বাল্যবিবাহের কারণে দশম শ্রেণীতে এসে মেয়েশিশুর অংশগ্রহণ থাকে মাত্র ২ শতাংশ। তিনি বলেন, শিশুদের পুষ্টি নিয়ে আমরা আর ভাবি না। কিন্তু একটি শিশুর পুষ্টি যদি নিশ্চিত করা  না যায় তাহলে সেই শিশুর কাছ থেকে মানসম্মত শিক্ষা পাওয়া যাবে কী করে?
 
পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, দেশে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর হার এখনো শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত সচেতন নাগরিকদের জন্য শিক্ষানীতি বা আইন নয়। কারণ, তারা তাদের বাচ্চাদের নিজ গরজেই লেখাপড়া শেখান। কিন্তু নিম্নবিত্ত ও দরিদ্রগোষ্ঠীর লোকের জন্য শিক্ষানীতি ও আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। অষ্টম শ্রেণী পাসের পর বেড়ে যায় ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা। অষ্টম শ্রেণীর পর ৪৬ শতাংশ শিশু ঝরে পড়ে। আগামীতে প্রাথমিক শিক্ষার সীমানা অষ্টম শ্রেণী করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।


পিপিআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, অনেক সময় অর্থের অভাবে শিশুদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। তারপর বেকার সমস্যাতো আছেই। কিন্তু কারিগরি শিক্ষাই পারে এসব সমস্যার সমাধান করতে।

সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আইএলও’র সাবেক উপদেষ্টা রিজওয়ানুল ইসলাম, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর  জামিলুর রেজা চৌধুরীসহ অন্যান্যরা।

বাংলাদেশ ইকোনমিস্ট ফোরামের (বিইএফ) প্রথম এ সম্মেলনের যৌথভাবে আয়োজন করেছে বিইএফ, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস), পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) ও বাংলাদেশ ব্যাংক।
 
এইচএসবিসি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এতে সহযোগিতা করছে।

বাংলাদশে সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।