ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

স্যামসাং কাস্টমার কেয়ারে গ্রাহক ভোগান্তি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৪
স্যামসাং কাস্টমার কেয়ারে গ্রাহক ভোগান্তি

ঢাকা: মোবাইল বা ইলেকট্রিক পণ্য ঠিকমতো কাজ না করলে সেবা পেতে মানুষ কাস্টমার কেয়ারে যান। কিন্তু কাস্টমার কেয়ারে গিয়েও শান্তি নেই।

সেবার নামে সেখানেও গ্রাহককে শিকার হতে হয় হয়রানির।

দীর্ঘদিন ধরে এ অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে শীর্ষস্থানীয় মোবাইল কোম্পানি স্যামসাং কাস্টমার পয়েন্টে।

বৃহস্পতিবার বাংলানিউজের কাছে স্যামসাং কাস্টমার কেয়ারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহেলার অভিযোগ করেন এক ভুক্তভোগী গ্রাহক। কাস্টমার কেয়ারের সার্ভিস গ্রহণের কয়েকটি প্রমাণও তুলে ধরেন তিনি।

ইমরান নামে ওই গ্রাহক বলেন, আমি দু’মাস আগে ওয়ারেন্টিসহ স্যামসাং গ্যালাক্সি এস-৫ সেট কিনি ৬০ হাজার টাকা দিয়ে। এরপর সেটে নানা সমস্যা দেখা দেয়। সামান্য ব্যবহারের উত্তপ্ত হওয়া, চার্জে থাকাকালেও চার্জ কমে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।

তিনি বলেন, ‍আমি কাস্টমার কেয়ারে যাই। তারা ফোনের সফটওয়্যার ও ইউএসবি পোর্ট বদলে দেন। এরপরও ব্যবহার করতে গেলে একই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এক সপ্তাহ পর ১১ জুলাই আমি আবারও কাস্টমার কেয়ারে যাই। এবার তারা আমার ফোন রেখে দিয়ে দু’দিন পর ফেরত দেন। তারা আমাকে সেটের মাদারবোর্ড পরিবর্তন হয়েছে বলে জানান।

ইমরান আরও বলেন, এবার খেয়াল করলাম, আমার ফোনের ডিসপ্লে ঠিকমতো অ্যাটাচ করা হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে কাস্টমার কেয়ারে নিয়ে গিয়ে তাদের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলতে গেলে কাস্টমার রিলেশন অফিসারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেন। তখন তার কাছে বিস্তারিত অভিযোগ করলেও তিনি কিছু না বলে সেটটা রেখে দেন। তিনদিন পর সেট নিতে যাই। তারা আমাকে ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে সেট ঠিক করা হয়েছে বলে জানান। তারপরও আশ্বস্ত হলাম না। আবারও বিশেষ করে লিক্যুইড টেস্ট করাতে বললাম। বারবার বলার পরও তারা আমাকে সেট ঠিক আছে, কোনো সমস্যা নেই বলে আশ্বাস দেন।

এরপর সেট নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হয়। আমি রিকশায় পুরো ভিজে যাই। সেটেও পানি ঢুকে যায়। লিক্যুইড ইনডিকেটর যে একটি টেপ আছে সেটির কালার পরিবর্তন হয়ে সাদা থেকে লাল হয়ে যায়।

এই হলো বাংলাদেশের স্যামসাং হ্যান্ডসেট। শুধু একটা নয় এমন ঘটনা হরহামেশা ঘটছে প্রতিদিনই।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।