ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

প্রান্তিক পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা দিতে ‘ইউআইএসসি’র ভূমিকা

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৪
প্রান্তিক পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা দিতে ‘ইউআইএসসি’র ভূমিকা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে প্রযুক্তির আলোয় আগামীর পথ দেখাতে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের (ইউআইএসসি) ভূমিকা অপরিহার্য। প্রযুক্তিভিত্তিক যেসব সেবা আগে অনেক দূরের পথ পাড়ি দিয়ে অর্থ ব্যয় করে পেতে হতো এখন তা এখান থেকেই সহজে ও সুলভে পাওয়া সম্ভব।

ফলে একজন সাধারন মানুষ সহজেই তার জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে আসতে পারে।

শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিসিসি ভবনে Empowering Rural Communities - Reaching the Unreached: Union Information & Service Center (UISC) Project আয়োজিত ÔProspects & Challenges of UISC’s শীর্ষক সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব নজরুল ইসলাম খান প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, হাতের মুঠোয় সেবা দিয়ে সময় ও অর্থের সাশ্রয় ঘটিয়ে একটি সমৃদ্ধ দেশ সৃষ্টির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণই সরকারের লক্ষ্য।

প্রকল্প পরিচালক ও আইসিটি বিভাগের যুগ্ম-সচিব (প্রশাসন) সুশান্ত কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইউআইএসসির উদ্যোক্তা পরিচালকদের প্রণোদনা প্রদান নিয়ে আলোচনা করেন এ টু আই (অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন) প্রকল্পের ডোমেইন স্পেশালিস্ট মিজ উন্মে সালমা তানজিয়া।

জানানো হয়, বাংলাদেশের ৩১টি জেলার ১০১ টি উপজেলার ২০০টি দূর্গম ইউনিয়নে ইউনিয়ন তথ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটির জন্য মোট বরাদ্দ ৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। যার মধ্যে যন্ত্রপাতি সরবরাহ বাবদ ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা, কর্মচারীদের বেতন, জনসচেতনতা ও অন্যান্য কর্মসূচী বাবদ ২ কোটি ২২ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ৯৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে আর অবশিষ্ট ৮ শতাংশ (ট্রেনিং) ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে।

অনুষ্ঠানে এছাড়া জানানো হয়, সর্বশেষ ২০০ টি ইউআইএসসি এর মধ্যে ১১৩ টির মাসিক আয়ের তথ্য আপলোড করেছে। দূর্গম এলাকা হলেও মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত ইউআইএসসি থেকে মোট ৪৯,৪৫,০২৯.০০ টাকা আয় হয়েছে।

বক্তাদের মতে, অর্থের দিক দিয়ে ছোট প্রকল্প হলেও এর গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণের দোড় গোড়ায় সেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া অনুরূপ প্রকল্প সার্কভূক্ত অন্যান্য দেশ গ্রহণ করায় দেশগুলোর মধ্যে সেতুবন্ধন আরো দৃঢ় হয়েছে।

সেমিনারটিতে বিভিন্ন জেলার এডিসি (আইসিটি), সহকারি কমিশনার(আইসিটি), প্রোগামার ও সহকারী প্রোগ্রামাররা অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, প্রকল্পটি SAARC Development Fund এর আওতায় বাংলাদেশ, ভূটান, মালদ্বীপ এবং নেপালে একযোগে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।