ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এদেশ হবে সিলিকন বাংলাদেশ

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৪
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এদেশ হবে সিলিকন বাংলাদেশ ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ডিজিটাল বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও সিলিকন বাংলাদেশ তৈরি করতে সর্বস্তরের উদ্ভাবনী পরিকল্পনা তুলে আনতে হবে। দক্ষ জনবল গড়তে তাদের জন্য প্রশিক্ষণ এবং বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়া সরকারি-বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগে ঊৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় পলিসি করতে হবে।

দৈনিক ইত্তেফাক ও স্টার্টআপ ঢাকা আয়োজিত  ‘সিলিকন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি শামীম আহসান, গুগল ইউএসএ এজেন্সি ডেভেলপমেন্ট প্রধান বিকি রাসেল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের সমৃদ্ধির কার্যক্রম চলছে। প্রতিমাসে ৪০ হাজার সাধারণ জনগন ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রগুলো থেকে সেবা নিচ্ছে। এছাড়া সরকারি ২৫ হাজার ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। সব মিলিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি ও সেবা এখন মানুষের হাতের মুঠোয়।

গুগলের সহায়তায় ৪০০টি স্কুলে ৪ লাখ শিক্ষার্থীকে ইন্টারনেট বিষয়ে জ্ঞানদানের উদ্যোগ এবং ৫৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরির কার্যক্রমও এগিয়ে চলছে। পরবর্তীতে তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়তে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, সবাই মিলে কাজ করলে এদেশ একদিন সিলিকন বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।

বেসিস সভাপতি শামীম আহসান দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যাংক/এনবিএফআই কিংবা শেয়ার বিক্রির পরামর্শ দেন। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশে তারা বিনিয়োগে আগ্রহী। তবে এক্ষেত্রে বিদ্যমান কিছু প্রতিবন্ধকতার সমাধান দরকার। ভেঞ্চার ক্যাপিটালের নিয়ন্ত্রণ ও তদারকির জন্য বাংলাদেশে কোনো আইন নেই। উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে ভেঞ্চারের গুরুত্ব বিবেচনায় এ সংক্রান্ত আইন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, দেশের মেধাবীদের ৮০ ভাগই চলে যায় বিদেশে। তাই বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মেধা ও পুঁজি দেশে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য সরকারকে আরো উদ্যোগী হতে হবে।

দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক তারিন হোসেইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ প্রদর্শন করেন বিগ ডাটা পার্টনারশীপ ইউকের প্রিন্সিপ্যাল কনসালট্যান্ট ড. ক্রিশ্চিয়ান প্রকপ। বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন বিসিএস সভাপতি মাহফুজুল আরিফ, বিসিসি নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল ইসলাম, ওকে মোবাইলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান, স্টার্টআপ ঢাকার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাইয়াজ তাহের, ইল্যান্স-ওডেস্কের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বিদেশি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশি স্টার্টআপ কোম্পানি কিনতে চায়। আগে তাদেরকে দেখাতে হবে স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোর পিছনে কতোটা বিনিয়োগ করা হয়েছে। তাছাড়া সিলিকন বাংলাদেশ গড়তে চাইলে শুধু নিজেদের জনশক্তি নয়, প্রয়োজনে আমেরিকা, জাপানসহ উন্নত দেশগুলো থেকে দক্ষ জনশক্তি আনতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।