ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

৮ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকায় প্রথম সিটিও সম্মেলন

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৪
৮ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকায় প্রথম সিটিও সম্মেলন

আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকার ‘র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে’ শুরু হচ্ছে কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার (সিটিও) ৫৪তম কাউন্সিল সভা ও বার্ষিক ফোরাম। পাঁচ দিনব্যাপী এই কাউন্সিল সভায় অংশগ্রহণ করছেন কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী, সচিব, রেগুলেটর প্রধান, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা সহ খাতটির সংশ্লিষ্ট প্রায় ৩০০ প্রতিনিধি।



বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সম্মেলনের পূর্ব-প্রস্তুতি সম্পর্কে জানানো হয়, অনুষ্ঠানের বিস্তারিত মুহূর্তেই পাওয়ার জন্য একটি অ্যাপ উন্মুক্ত করা হবে। এছাড়া আগামী ২০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে অনুষ্ঠিতব্য আইটিইউ'র নির্বাচনে বাংলাদেশের অবস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যও নির্ধারণ হবে এই সম্মেলনে। ‘সিটিও সম্মেলন’এ বাংলাদেশ থেকে গ্ল্যানিয়ার্ড ¯পন্সর হিসেবে অংশগ্রহণ করছে বেইস টেকনোলোজিস, লাঞ্চ ¯পন্সর হিসেবে রবি আজিয়াটা লিমিটেড, এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড ও বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেড এবং ডিনার স্পন্সর হিসেবে সিটিসেল (প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড)।

আরো জানানো হয়, সম্প্রতি সিটিও এর একটি প্রতিনিধি দল অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনা এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। সিটিও ফোরামের অপারেশন পরিচালক ও কর্পোরেট সেক্রেটারি লাসান্থা ডি অলউইস বাংলাদেশ সরকারের প্রস্ত্ততি দেখে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে আয়োজনটির সফলতা প্রত্যাশা করেন।

বৈঠকে বিটিআরসির মহাপরিচালক (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস) গোলাম মাওলা বলেন, বাংলাদেশের আইটি সেক্টরে এটিই হবে  সবচেয়ে বড় আয়োজন।

এবারের আয়োজনের প্রতিপাদ্য বিষয় "আইসিটিস ফর ডেভেলপমেন্ট- ফ্রম এক্সেস টু ইনক্লুসিভ অ্যান্ড ইনোভেটিভ সার্ভিস"। এতে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান বিনিময় ছাড়াও টেকসই উন্নয়ন, মোবাইল প্রযুক্তি, থ্রিজি, মোবাইল ই-কমার্স, আউটসোর্সিং, ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস, ডেটা রিভোলিউশন, বিগ ডাটা নিয়ে সেমিনার রয়েছে।

প্রসঙ্গত, সিটিও কাউন্সিল মিটিং মূলত সিটিওর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভা। প্রতি বছর কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমুহের যে কোন একটি দেশে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এই সভার মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের গুরুত্বের মাত্রা নির্ধারণ, ভবিষৎ কর্মসুচি প্রণয়ন, ও সংগঠনের অগ্রগতি পরীক্ষা করা হয়।

এছাড়া কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশসমূহের সরকার, নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান, অপরেটর, ইন্ডাস্ট্রি তথা সকল স্টেকহোল্ডারদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্ল্যাটফর্ম। এই ফোরামে মোবাইল ব্রডব্যান্ড নীতিমালা, সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধদমন, নেক্সট জেনারেশন নেটওয়ার্ক, কনটেন্ট ও অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, ক্লাইমেট চেঞ্জ, আইপি টেকনোলজি, স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড, টেলিকম রেগুলাটরি ফ্রেমওয়ার্ক, শিক্ষা-যুবসমাজ ও আইসিটি ব্যবহার এবং গ্রীন টেকনোলজিসহ টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।