ঢাকা, রবিবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

চলতি বছর এশিয়ায় টেলিনরের ইন্টারনেট গ্রাহক হবে ৪৫ মিলিয়ন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৪
চলতি বছর এশিয়ায় টেলিনরের ইন্টারনেট গ্রাহক হবে ৪৫ মিলিয়ন

ঢাকা: চলতি বছর শেষে এশিয়ায় তাদের ইন্টারনেট গ্রাহক ৪৫ মিলিয়ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিনর। এই প্রবৃদ্ধি গতবছরের তুলনায় ৬৪ শতাংশ বেশি হবে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

 

এশিয়ার ছয়টি বাজারে চলতি বছরের শেষে নিজেদের ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছে টেলিনর গ্রুপ।   

টেলিনরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ওই পর্যায়ে পৌঁছালে এশিয়ায় টেলিনর গ্রুপের ১৬০ মিলিয়ন গ্রাহকের এক তৃতীয়াংশ- ইন্টারনেট ব্যবহারে সক্ষম হবে।

টেলিনরের তথ্যমতে, এশিয়ায় তাদের বর্তমান গ্রাহকের মধ্যে ২০ শতাংশ নিয়মিত মোবাইল ডাটা ব্যবহার করেন। সুতরাং, এটি একটি লক্ষ্যনীয় প্রবৃদ্ধি যা ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগে আরো ছড়িয়ে দিতে উৎসাহ যোগাবে।

প্রতিষ্ঠানের ‘সবার জন্য ইন্টারনেট’ কৌশলের উদ্দেশ্য ফিক্সড লাইনের ঘাটতি আছে এবং ডিভাইসের দাম হ্রাস পাচ্ছে- এমন একটি অঞ্চলে এই গুরুত্বপূর্ণ রাজস্ব ও প্রবৃদ্ধি খাত করায়ত্ত করা।

টেলিনর গ্রুপের ইভিপি ও হেড অব এশিয়া অপারেশন্স সিগভে ব্রেক্কে বলেন, ‘এশিয়ায় ‘সবার জন্য ইন্টারনেট’ লক্ষ্য অর্জনে আমরা আরো একধাপ এগিয়ে গেলাম। আমাদের লক্ষ্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী হতে পারে, কিন্তু এশিয়ার বাজারে দীর্ঘমেয়াদে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা প্রদানে আমাদের অবস্থান দৃঢ়।

তিনি বলেন, ‘বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং মোবাইল ডাটা অর্থনৈতিক কাজে জড়িত সবার জন্যই মূল্যবান। তারাই ডাটার ব্যবসা টিকিয়ে রাখেন এবং আমাদের উদ্ভাবন, সেবা এবং সংযোগ প্রদানে সাহায্য করেন। ম্যাককিনসে এবং বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের প্রতিবেদন বলছে, জিডিপিতে ইন্টারনেট ব্যবহার অবদান রাখছে। উন্নয়নশীল বাজারে নতুন প্রযুক্তিগত পরিবেশের উন্নয়নে তা ব্যাপক সাহায্য করছে। ’

ব্রেক্কে বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে মোবাইল ইন্টারনেট জীবন বদলে দিচ্ছে। বিশ্বের এ অঞ্চলে আরো বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে আমাদের সেবা পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ আছে। এশিয়ায় এ বছর মোবাইল ইন্টারনেট বৃদ্ধির যে সংখ্যা আমরা আশা করছি তাতে দেখা যায় ‘সবার জন্য ইন্টারনেট’ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে আমরা ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি।

টেলিনরের এশিয়া বাজার গত দুই বছরে মোবাইল ডাটার অপ্রত্যাশিত বৃদ্ধি ও ব্যাপক চাহিদা দেখেছে। থাইল্যান্ডের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার দ্বিগুণের কাছাকাছি, অর্থাৎ ১৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩২ শতাংশে গিয়েছে (এনটিএসবি)। এই উচ্চ চাহিদা মেটাতে ডিটাক সম্প্রতি ব্যাংককে  ৩জি নেটওয়ার্কের পরিপূরক হিসেবে ৪জি চালু করেছে।

থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে থ্রিজি স্পেকট্রাম পেয়েছে টেলিনর, ভারতে পেয়েছে ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে অতিরিক্ত স্পেকট্রাম এবং বিশ্বের সর্বশেষ সম্ভাবনাময় বাজার মায়ানমারে ৯০০ মেগাহার্টজ এবং ২.১ গিগাহার্টজ ব্যান্ডে স্পেকট্রাম পেয়েছে।

২০১৪ সালের শুরুর দিকে বাংলাদেশে গ্রামীণফোন টেলিনরের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে সারাদেশজুড়ে থ্রিজি সেবা বিস্তার করে। এপ্রিলে পাকিস্তানে টেলিনর থ্রিজি সেবা চালুর জন্য লাইসেন্স পায় এবং দেশজুড়ে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ে। ভারতে সম্প্রতি ইউনিনর ফিচার ও স্মার্টফোনে ইন্টারনেট সেবা চালু করেছে। আশা করছে এ বছরেই উভয় সেবাতে গ্রাহক সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। আগামী মাসে মায়ানমারে টেলিনর ২জি এবং থ্রিজি সেবা চালু করতে যাচ্ছে।

গ্রাহকদের ইন্টারনেট ব্যবহার ও চাহিদা পূরণে টেলিনর সামাজিক যোগাযোগ এবং বিনোদনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম যেমন, ফেসবুক, উইকিপিডিয়া, হোয়াটসঅ্যাপ প্রভৃতির সাথে টেলিনর সহযোগিতা করছে। বিভিন্ন আর্থিক সেবা, শিক্ষা ও সুলভ স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেছে।

টেলিনর এর ইভিপি এবং হেড অব গ্রুপ স্ট্রাটেজি অ্যান্ড ডিজিটাল হেনরিক ক্লাউসেন বলেন, এসব সেবার মাধ্যমে প্রত্যেকের জীবন বদলে যাচ্ছে যা সমাজের জন্য কাজে আসছে। উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমরা সামনের বছরগুলোতে মোবাইল ডাটার ব্যাপক চাহিদা থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবো, এ ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী।

২০১৪ সালের দ্বিতীয় কোয়ার্টার পর্যন্ত এশিয়ায় টেলিনর গ্রুপের মোট ১৫৮ মিলিয়ন ভয়েস, টেক্সট ও ডাটা গ্রাহক রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।