ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২৬ জিলহজ ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকায় ই-কমার্স মেলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৪
২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকায় ই-কমার্স মেলা ছবি: রেহানা/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেশের অনলাইন  বাজার সম্প্রসারণ ও তরুণ উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে আয়োজন করা হয়েছে ই-কমার্স মেলার। রাজধানীর শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে আগামী ২৫-২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করেছে কম্পিউটার জগৎ।

 
 
‘ক্লিকের ছোঁয়ায় বাণিজ্য’ স্লোগান নিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এ মেলার উদ্বোধন করবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি। ওইদিন সকাল ১০টায় মেলার উদ্বোধন করবেন তিনি।  
 
দেশের জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম সহ আরো ১৫টি প্রতিষ্ঠান এ মেলার পার্টনার হিসেবে থাকছে। এছাড়া মেলার প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে থাকছে ‘Ekhanei.com’ এবং ‘তথ্যআপা’। গোল্ড স্পন্সর করছে ‘টিম ইঞ্জিন’ ও ‘ওয়েবটিভি নেক্স’। সিলভার স্পন্সরে রয়েছে ‘আড়ং’।
 
ই-কমার্স মেলাকে সামনে রেখে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মেলার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মেলার আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, কম্পিউটার জগৎ-এর সহকারী সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল হক এবং Ekhanei.com’র পরিচালক আরিল্ড ক্লোক্করহৌগ।
 
মেলার আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, কম্পিউটার জগৎ বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। ই-কমার্স খাতের প্রসারে গত বছরও মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে এখন পর্যন্ত পাঁচটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এবারের ই-কমার্স মেলায় ডিরেক্টরি প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে ই-কমার্স খাতের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তথ্য থাকবে।
 
বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে এটিই প্রথম ডিরেক্টরি বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন মেলার অন্যতম এ অয়োজক।

কম্পিউটার জগৎ-এর সহকারী সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল হক বলেন, ই-কমার্স বাংলাদেশে ইতিমধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ঈদে অনলাইন কেনাকাটা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এবার রমজানের ঈদেও শতকোটি টাকার অনলাইন কেনাকাটা হয়েছে।
 
তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখন আর সন্দেহ নেই যে, সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে তৈরি পোশাক খাতের মতো ই-কমার্সও একদিন বড় একটি অর্থনৈতিক খাত হয়ে উঠবে।
 
আব্দুল হক বলেন, তরুণ সমাজই ই-কমার্স খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বর্তমানে যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দেশে রয়েছে তার বেশিরভাগই তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠিত। ই-কমার্স মেলা বিশেষভাবে তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টাকে সামনে তুলে ধরতে চায়। একইসঙ্গে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সেতুবন্ধ গড়ে তোলা, যাতে এ খাত দ্রুত গতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে।
 
সংবাদ সম্মেলনে মেলার আয়োজকরা জানান, উদ্বোধনী দিন সন্ধ্যা ৭টায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৬ জনকে কম্পিউটার জগৎ-এর পক্ষ থেকে সম্মাননা দেওয়া হবে।

এবারের মেলায় আরো বেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য এবং সেবা প্রদর্শনের সুযোগ পাবে। এসবের পাশাপাশি এবারের মেলায় থাকছে গিগাবাইট গেমিং জোন এবং ই-কমার্স বিষয়ক সেমিনার। মেলায় উদ্বোধনী দিন জাতীয় মহিলা সংস্থার আয়োজনে ‘তথ্যআপা প্রকল্প’ ও এর ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হবে।
 
তিন দিনব্যাপী ই-কমার্স মেলার তত্ত্বাবধানে রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক লাইব্রেরি। মেলায় ৩৪টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান স্টলের বরাদ্দ পেয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
 
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার মীনা পারভীন, আড়ং’র সিইও আব্দুর রউফ, ই.কম.বিডি’র প্রতিষ্ঠাতা রাজিব আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৪/আপডেট: ১৩১৮ ঘণ্টা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।