ঢাকা: চীনের বৃহৎ হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জিওমি ভারতে হ্যান্ডসেট বানানোর পরিকল্পনা করছে। চেন্নাইয়ে ‘অলস’ পড়ে থাকা নকিয়ার কারখানায় এ হ্যান্ডসেট প্রস্তুত হতে পারে।
এ লক্ষ্যে সহযোগিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে নকিয়ার চেন্নাইয়ের প্ল্যান্টের বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেন নি জেইন।
জিওমির ভারতের অপারেশন প্রধান মানু জেইন বলেন, ভারতের বাজারে সম্ভাবতা যাচাইয়ে এটি শুরু মাত্র। ভারত একটি বড় বাজার, আমরা আমাদের ক্রেতাদের কাছে যেতে চাই, যোগ করেন জেইন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা জানান তিনি।
পরিকল্পনা সফল হলে এটি হবে ভারতের বাজারে প্রথম কোনো চীনা শীর্ষস্থানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সফল উদ্যোগ। আর এ উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ক্যাম্পেইন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’কে আরো ত্বরান্বিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতীয় হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মাইক্রোম্যাক্স চলতি বছরের এপ্রিলে ভারতে হ্যান্ডসেট প্রস্তুত শুরু করে।
এদিকে দেখা যায়, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফার দিক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্যামসাংকে ছাড়িয়ে গেছে জিওমি। প্রতিষ্ঠানটি চীনের সাপ্লায়ারদের মাধ্যমে ভারতের বাজারে হ্যান্ডসেট আনছে। চলতি বছরের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত ভারতের বাজারে ৮ লাখ হ্যান্ডসেট বিক্রি করেছে জিওমি।
জেইন বলেন, স্থানীয়ভাবে হ্যান্ডসেট তৈরি করতে পারলে প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতিযোগিতা সহজ হবে। এর ফলে আমাদের স্ট্রাটেজি অনুযায়ী প্রতিযোগীদের তুলনায় (অ্যাপল, স্যামসাং) কম মূল্যে মানুষের হাতে ফিচার ফোন তুলে দিতে পারবো।
ডিভাইস অ্যাসেম্বল করার জন্য পার্টনার খোঁজা হচ্ছে জানিয়ে জেইন বলেন, হার্ডওয়ার ও সফটওয়ারের ওপর ভিত্তি করে আমরাই হ্যান্ডসেটের ডিজাইন করবো।
চীনেও একই চুক্তির ভিত্তিতে হ্যান্ডসেট তৈরি করা হয় জানিয়ে তিনি আরো বলেন, অ্যাপল ও ব্ল্যাকবেরি যাদের দিয়ে পণ্য অ্যাসেম্বল করায় আমরাও তাদের দিয়ে (ফক্সকন) অ্যাসেম্বল করি।
২০১০ সালে হ্যান্ডসেট বাজারে নিজেদের নাম লেখায় জিওমি। তেমন কোনো প্রচারণা ছাড়াই হ্যান্ডসেট বাজারে জনপ্রিয় এ প্রতিষ্ঠানটির মুনাফার পরিমাণ বেড়ে চলছে।
সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর একশ কোটি ডলার মুনাফা করবে জিওমি। প্রতিষ্ঠানটির এক আর্থিক প্রতিবেদনের সূত্র ধরে এমন তথ্য জানিয়েছে জার্নালটি।
প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জার্নাল জানায়, ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে জিওমির নেট মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে ৮৪ শতাংশ। যা আর্থিক হিসেবে ৫৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। চলতি বছর এখন পর্যন্ত এ মুনাফার পরিমাণ ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৪