ঢাকা: কোনো রকম চোখ প্রতিস্থাপন নয়। দরকার ছোট্ট একটি অস্ত্রোপচার।
অন্ধ এলিয়াস কনস্তানতোপোলসের চোখে ডাক্তাররা এমনই একটি চশমা পরিয়েছেন যে ছোট্ট নাতিকে দেখার তার সাধ এতোদিনে পূরণ হয়েছে।
এই যন্ত্রটি চোখের রেটিনার নিয়ম মেনে চলে। এতে ছোট ভিডিও ক্যামেরা থাকে। ক্যামেরাটি বাস্তব দুনিয়ার ছবি তুলে তা বৈদ্যুতিক তরঙ্গে পরিণত করে। পরে চোখে ছবি তৈরি করে।
তিনি পাঁচ বছর আগে রেটিনার রোগে আক্রান্ত হয়ে পুরোপুরি অন্ধ হন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তিন হাজার লোকের একজন এই রোগে আক্রান্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বার্নি অঞ্চলের অধিবাসী কনস্তানতোপোলস। তিনি তরুণ বয়সে গ্রিস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পাড়ি জমান। ৪৩ বছর বয়সেই তার চোখের সমস্যা শুরু হয়। সেসময় একজন ডাক্তার তাকে দেখে বলেন যে, তিনি আর দূরে দেখতে পারবেন না।
এতে রেটিনার রডস এবং কোনস নষ্ট করে দেবে এবং এজন্য তিনি কোনো আলো দেখতে পারবেন না।
৭২ বছর বয়স্ক বৃদ্ধ কনস্তানতোপোলস বলেন, “কেউ যদি তার দৃষ্টি হারায় তবে সে তার সবকিছু হারায়। ”
এখন তিনি প্রতিদিন সকালে তার চশমাটা পরে নেন এবং তার জানালার ধারে অথবা উঠানে গিয়ে দাঁড়ান।
আরগুস-২ নামে পরিচিত চশমাটি ক্যালিফোনিয়ার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সেকেন্ডে নির্মাণ করেছে। আমেরিকায় ১৪ জন এবং ইউরোপে ১৬ জন রোগী এই চশমা ব্যবহার করেন। আরগুস-২ যন্ত্রটির দাম প্রায় এক লাখ মার্কিন ডলার। আশা করা হচ্ছে, ২০১২ সালের মধ্যে এর অনুমোদন পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১১