জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। এক নামেই যিনি বিখ্যাত।
অ্যাসাঞ্জের এ মন্তব্যে বিশ্বব্যাপী আলোচনার ঝড় বইছে। উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বলেন, ইতিহাসের সবচে শক্তিশালী গোয়েন্দামাধ্যম হিসেবে ফেসবুক এরই মধ্যে অনেক তথ্য আবিষ্কার করেছে। আরও অনেক তথ্য অনুসন্ধানে চলেছে গোপন সব কারিগরি তৎপরতা।
এ তিন গণমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্বের বহু মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য, সম্পর্ক, নাম, ঠিকানা, বসবাসের স্থান, মোবাইল নম্বর এমনকি যোগাযোগমাধ্যম সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছে।
অ্যাসাঞ্জ বিশেষভাবে উল্লেখ করেন ফেসবুক যখন বিশ্বব্যাপী সমালোচনা তোপে তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ সাইট বন্ধ করলেও ফেসবুক সাইটে উইকিলিকসের যে লিঙ্ক ছিল তা অব্যাহত রাখা হয়। এটি একটি বৈরী নীতির উদাহরণ।
গুগল এবং ইয়াহুর গোয়েন্দা তৎপরতা সম্পর্কে জুলিয়ান বলেন, গুগল এবং ইয়াহুর প্রথম পৃষ্ঠাতেই যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা নজরদারির লিঙ্ক দেওয়া আছে। এ লিঙ্কের মাধ্যমে এ সাইটে প্রবেশকারীদের তৎপরতা নজরদারি করেছে ইউএস গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
উল্লেখ্য, অ্যাসাঞ্জ তার এ সাক্ষাৎকারে কখনই বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আরেক জনপ্রিয় সামাজিক সাইট টুইটারে নাম উচ্চারণ করেননি।
যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিভিন্ন কূটনৈতিক উদ্দেশ্যসাধনে ফেসুবককে কখনও ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করেছে। যার নেপথ্যে উদ্দেশ্য ছিল প্রতিটি কাজে সাধারণ জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ। এর ফলে বিশ্বব্যাপী বৈরী সমালোচনা থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজের গাঁ বাচিয়ে চলেছে।
সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকের প্রতিটি গ্রাহক তার বন্ধুকে এ সাইটে অ্যাড করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন দলিল তৈরি করতে পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছে বলে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ আরটি সংবাদমাধ্যমকে জানান।
সব মিলিয়ে গুগল, ইয়াহু এবং ফেসবুকভিত্তিক নতুন এ তথ্য আবারও উইকিলিকসকে বিশ্বের শীর্ষ আলোচনায় নিয়ে এসেছে। বিশ্বের বহু গণমাধ্যম এখন এ অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
বাংলাদেশ সময় ২০৩২ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১১