ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সাংবাদিকতায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব

সিজারাজ জাহান মিমি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০০ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১১
সাংবাদিকতায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব

ঢাকা: বিশ্ব আজ তথ্যপ্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। বিশ্বের উন্নত দেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় অনেক এগিয়ে গেছে।

বর্তমানে অনলাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো স্বাধীন মত প্রকাশের মাধ্যম হয়ে গেছে।

এরই আলোকে ‘আগামীতে দেশের সংবাদমাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব বিষয়ক’ এক সেমিনার শনিবার বিকেল ৩টায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) ও সেন্টার ফর আইসিটি রিসার্চ পলিসির যৌথ উদ্যোগে ডিআইইউ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ডিআইইউ’র পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সবুর খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনের দায়িত্বে ছিলেন ডিআইইউ’র কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. আকতার হোসেন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর আইসিটি রিসার্চ পলিসির সভাপতি এস এ এস এম তাইফুর।

সেমিনারে ডিআইইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান বলেন, ‘এখনকার সাংবাদিকতা আগের অবস্থানে নেই। প্রযুক্তির আলোয় নতুন রূপ পেয়েছে। তাই, প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে এ বিভাগের সিলেবাসে পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ, মুহূর্তেই ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার তাৎক্ষণিক সংবাদ আমরা পেয়ে যাচ্ছি। বিশ্বের অন্যতম অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন ব্লগের যেমনি সেবা নেওয়া যায়, ঠিক তেমনি এতে নিজের মতামত প্রকাশ করা যায়।

বেসিসের সভাপতি মাহাবুব জামান বলেন, ‘এ জন্য সংবাদমাধ্যমের নতুন শিক্ষার্থীসহ সব পর্যায়ের সাংবাদিকদের যোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। ’

বিসিএস সভাপতি মোস্তফা জব্বার বাংলাদেশের ইন্টারনেটের শোচনীয় অবস্থা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি এ জন্য সরকারের যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তার মতে, মানসম্মত ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের মাধ্যমে দেশের অধিকাংশ সংবাদমাধ্যম অনলাইনের আওতায় আসতে পারে। পাশাপাশি তিনি এ মাধ্যমের নিরাপত্তার দিকটিও নিশ্চিত করতে সুদৃঢ় নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথি হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বিদ্যমান সমস্যাগুলো শিগগিরই কাটিয়ে ভালো একটি অবস্থান তৈরি করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এছাড়া উপস্থিত অন্যান্য বক্তারা বলেন, দক্ষ সাংবাদিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিটি ইউনিভার্সিটির পাশাপাশি পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত।

তারা বলেন, ইন্টারনেট শুধু বৃহত্তর ঢাকা আর চট্টগ্রামকেন্দ্রিক না হয়ে সর্বত্র পৌঁছে দেওয়া দরকার। এ ছাড়া তারা ইন্টারনেটের চড়ামূল্য কমিয়ে আনতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বক্তারা বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব আজ অনলাইননির্ভর। এরই প্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞরা তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের দিকগুলো বিবেচনা করে ধারণা করছেন, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম পুরোটাই অনলাইনভিত্তিক হয়ে যাবে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি অনলাইন সংবাদপত্র ও প্রিন্ট সংস্করণের নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে।

সবশেষ শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তরের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময় ১৩৫৫ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।