২০২১ সালে কেউ আর কাগুজে পত্রিকা পড়বে না। একটি সেমিনারে এমনই মন্তব্য করেছেন কমপিউটারে বাংলা লেখার উদ্ভাবক মোস্তাফা জব্বার।
এ অভ্যাস পরিবর্তনের কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, কাগজের হরফ এবং চিত্রায়ন ভবিষ্যতে পাঠকের কাছে আর গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। সবচেয়ে বড় বিষয় মানুষ এখন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিতে চায়। কথা বলতে চায়। এ ধরনের প্রতিক্রিয় শুধু অনলাইন সংবাদমাধ্যমেই প্রকাশযোগ্য।
‘তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, পুরো ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের শতকরা ১০ ভাগ দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর বাকি ৯০ ভাগই এখনও অব্যবহৃত রয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু ইন্টারনেট ভোক্তাদের কাছ থেকে ঠিকই শতভাগের টাকা নিচ্ছে সরকার। এ মুহূর্তে প্রযোজ্য শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাটের বিষয়েও তিনি অপত্তি জানান।
এছাড়া বাংলাদেশে শক্ত কোনো সাইবার ক্রাইম আইন নেই। তাই ফেসবুকে কোনো ব্যক্তি যদি কাউকে আপত্তিকর কথা বলে তাহলে তার বিচার কী হবে এ বিষয়ে সুষ্ঠ কোনো নির্দেশনা নেই বলেও সেমিনারে আলোচনা হয়।
এমনকি বাংলাদেশে সবগুলো অনলাইন পত্রিকাকে কীভাবে আইনের আনা যায় এ বিষয়েও সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা নেই। তাই এ সংবাদমাধ্যমে আইনের প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ড্যাফোডিল ইন্টারনেশ্যানাল ইউনিভর্সিটি ও সেন্টার ফর আইসিটি রিসার্চ পলিসির যৌথ উদ্যোগে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সাংবাদিকতায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির সভাপতি মোস্তাফা জব্বারকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময় ২১৫৪ ঘন্টা, জুন ৫, ২০১১