অনলাইন সংস্কৃতিতে এখনও সেলিব্রেটিদের তথ্য হননের ঘটনা ঘটছে। তথ্যপ্রযুক্তির নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তাবলয় ভেঙে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে স্পর্শকাতর সব ব্যক্তিতথ্য।
এ মুহূর্তে মাত্র ১৮ বছরের এক যুবক বিশ্বের নামকরা কন্ঠশিল্পীসহ বিশেষ ব্যক্তিত্বদের তথ্য চুরি করে আলোচনায় এসেছে।
এ সেলিব্রেটিদের মধ্যে অন্যতম লেডি গাগা। এর খেসারত দিতে জার্মানির আদালত অভিযুক্ত যুবককে ১৮ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে।
আদালতে সূত্র জানিয়েছে, এ টিনেজারের দেওয়া তথ্যানুসারে কপিরাইট আইন ভঙ্গ করে তাদের তথ্য চুরি করে ১৫ হাজার ইউরো (প্রায়) আয় করেছে ডিনেজ নামের এ টিনেজার।
কৌশল হিসেবে সে ফিশিং ইমেইল ব্যবহার করেছে। ফলে অনলাইন ব্যবহারকারীরা আগ্রহের সঙ্গে মেইলটি পড়েন। আর সফটওয়্যার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ট্রোজেন হর্স। এরপর শিল্পীদের রেকর্ডকৃত কিন্তু অপ্রকাশিত গান বিক্রির অফার অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, নির্ধারিত সময়ের আগেই ট্র্যাক গোপনীয়তা ফাঁসের এ ঘটনা জানিয়েছিল যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির পাইরেসি বিরোধী একটি দল।
এ ট্র্যাক কার্যক্রম গত ২০০৯ এবং ২০১০ সালের হ্যাকিংকেন্দ্রিক। লেডি গাগা, জাসটিন টিমবার্লেক, লিওনা লিউইজ, কেসা এবং মারিয়া কেরির মত ব্যক্তিদের হ্যাকিং ঘটনাও আছে এ কার্যক্রমে। আদালতে ‘ডিনেজ’ এর বয়সের কথা ছাড়াও অন্যের কমপিউটার থেকে ব্যক্তিগত ছবি চুরির অভিযোগ তোলা হয়।
জার্মানির সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি বিল্ডে’ প্রকাশিত এ টিনেজারের দুঃখ প্রকাশ করে লেখা চিঠির কথাও উল্লেখ হয় আদালতে। এ চিঠির ভাষা ছিল, প্রিয় লেডি গাগা আমি এ কাজের জন্য ভিষণ লজ্জিত। এর পরিণতি এমনটা হবে আমি তা বুঝতে পারিনি।
আদালতের ভাষ্যে, এ টিনেজারের উদ্দেশ্য ছিল আপত্তিকর। উল্লেখ্য, ২৩ বছরের আরেক হ্যাকারের কথাও এ প্রসঙ্গে আদালতে উত্থাপিত হয়। কিন্তু তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। এ অভিযুক্তকেও ১৮ মাস কারাদন্ড দেওয়া হয়।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব দ্য ফনোগ্রাফিক ইন্ডাস্ট্রি সূত্র জানিয়েছেন, এ অপরাধ প্রবণতা সঙ্গীত শিল্পী এবং ডিজিটাল শিল্পে ভবিষ্যতে আশঙ্কার কারণ হয়ে উঠবে। ফলে এ ব্যবসা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
বাংলাদেশ সময় ১৮৩৮ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১১